
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ব্যাংক কর্মকর্তাদের ডিভিডেন্ড ও বোনাস বিষয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘যদি কোনো ব্যাংকের মূলধন ১০ শতাংশের নিচে নামে এবং প্রভিশন লস হয়, তাহলে সেই ব্যাংক ডিভিডেন্ড বা বোনাস দিতে পারবে না। এছাড়া কোনো কর্মকর্তাকেই বোনাস দেওয়া হবে না।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীতে এক আলোচনায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন। গভর্নর বলেন, ‘গত এক মাসে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক বিলিয়ন ডলারের ডলার বাজার থেকে কিনেছে, কিন্তু দাম বাড়েনি।
ডলার সংকট না থাকলেও টাকার চাপে রয়েছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কাজ চলমান এবং আরও পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন। চলতি আগস্টে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সামান্য মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি হয়েছে। তবে আমাদের লক্ষ্য এটি ৫ শতাংশের নিচে নামানো।’
তিনি আরও জানান, ‘জুনের খেলাপি রিপোর্টে ৩০ শতাংশ খেলাপির আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারের সঙ্গে আগামী রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করার বিষয়ে আলোচনা শুরু হবে। আশা করি, এক-দু’বছরের মধ্যে এই উদ্যোগ সুফল দেবে। এটি কর্মকর্তা ও আমানতকারীদের জন্যও লাভজনক হবে।’
আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে। গত কয়েক বছরে অর্থ ব্যবস্থায় শঙ্কা তৈরি হয়েছিল। সেই অস্থিরতা দূর করতে আমরা কাজ করছি এবং আংশিক হলেও ইতিবাচক ফল পাচ্ছি।’
তিনি ব্যালেন্স অব পেমেন্টের বিষয়ে জানান, ‘সব ধরনের লেনদেনে উদ্বৃত্ত রয়েছে, কারণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সংকট সত্ত্বেও রপ্তানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে যেভাবে কমিশন বাণিজ্য ও হুন্ডি হতো, এখন তা অনেক কমেছে। ৩০ শতাংশ লিকেজ থাকত প্রবাসী আয়ের, আমদানি কমেনি কিন্তু খরচ কমেছে। অর্থ পাচারের এই প্রচলিত পদ্ধতি এখন কমে এসেছে, এবং এর পেছনে কাজ করছে সুশাসন। এজন্য রিজার্ভ বেড়েছে।