
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় বিএনপি’র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুরুতর আহত বাবুল আক্তার (৫৫) নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত বাবুল আক্তার বিএনপি কর্মী এবং ঢাকা মহানগর (উত্তরর) যুবদলের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েলের কর্মী।
হামলাকারী আলম হোসেন সম্প্রতি পিয়ারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সম্পাদক হয়েছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ আগস্ট রাত ৮টার দিকে উপজেলার পিয়ারপুর ইউনিয়নের মাদিয়া বাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে বিএনপির
দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে বাবুল আক্তার ও সোহাগ হোসেন নামে দু’জন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে নয়দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর শনিবার দুপুরে বাবুল আক্তার মারা যান।
সংঘর্ষের ঘটনায় বাবুল আক্তার আহত অবস্থায় ঘটনার দিন রাতে নিজে বাদী হয়ে মাদিয়া এলাকার বিএনপি নেতা আলম ও নবীরসহ ৭-৮ জনকে আসামি করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
এদিকে বাবুল আক্তারের মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করে। এসময় বিক্ষুব্ধ জনতা ঘটনার সাথে জড়িত মারুফ হোসেন (৪০) নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ওসি মো. সোলাইমান শেখ জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনও নিয়েছে। এখন বাবুল আক্তারের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। তদন্তের ভিত্তিতে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।