
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট পদত্যাগের পর থেকে ভারতে অবস্থান করছেন। একই সময়ে, অন্তর্বর্তী সরকার কয়েক মাস আগে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে তিনি ভারতে বসে ভিডিও কলের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের ক্রমাগত নির্দেশনা দিচ্ছেন এবং দেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাইছেন।
এছাড়া, আওয়ামী লীগের বিরোধীদের পর্যবেক্ষণ ও হুমকি প্রদানের কাজও তিনি দিল্লি থেকে পরিচালনা করছেন। বিশেষভাবে নজরে এসেছে ফ্রান্সের প্যারিসে বসবাসরত আলোচিত ইউটিউবার পিনাকি ভট্টাচার্য। ২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্রজনতার পক্ষে সক্রিয় থাকার কারণে পিনাকি হুমকির লক্ষ্যবস্তু হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পিনাকি ভট্টাচার্য নিজে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শেখ হাসিনা ফ্রান্সে বসবাসরত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলছেন পিনাকিকে তার শ্বশুরবাড়িতে পাঠাতে। ভিডিওতে নেতাকর্মীরাও জবাবে জানাচ্ছেন, “জি আপা, আমরা খবর নিয়েছি, তার শ্বশুরবাড়ি টাঙ্গাইলে।”
পিনাকি ভট্টাচার্য এক পোস্টে লিখেছেন, হাসিনার মূল সমস্যা সম্ভবত তার সাথে নয়, বরং তার শ্বশুরবাড়ি নিয়ে। তিনি বলেন, “দুইবার আমার নামের সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আমার সঙ্গে বিষয়টি বুঝতে পারি, কিন্তু শ্বশুরবাড়ি নিয়ে হুমকির কারণ বুঝতে পারছি না।”
আরেক পোস্টে পিনাকি উল্লেখ করেছেন, মুজিবকে যারা ‘জয়বাংলা’ করেছে, তাদের স্বাভাবিক জীবন ফিরেছে না। তিনি বিশ্বাস করেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সম্পর্কিত ঘটনা নিয়ে এককভাবে তাকে দায়ী মনে করেন এবং প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা চালাবেন। পিনাকি বলেন, “আওয়ামী লীগের পবিত্র আইকনগুলোর উপর হাত দিলে পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।”