
প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের প্রকৃত অবস্থান নির্ণয়ে সরকার চলতি বছরের জুলাই মাসে একটি প্রি-অ্যাসেসমেন্ট পরীক্ষা নিয়েছিল। এ বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে কোন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোন পর্যায়ে রয়েছে। এর ভিত্তিতে পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ যত্নের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বলা হয়, “শিক্ষকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল নিরপেক্ষভাবে এ পরীক্ষা নিতে। প্রকৃত তথ্য ছাড়া উন্নয়নের সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব নয়। প্রি-অ্যাসেসমেন্টের পর আমরা অনেক স্কুলে গিয়ে দেখেছি, শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে ক্লাস করানো হচ্ছে, এমনকি স্কুল টাইমের বাইরে ক্লাস চলছে। নভেম্বর শেষে বা ডিসেম্বর মাসে আবারো অ্যাসেসমেন্ট নেওয়া হবে। এতে বোঝা যাবে কতজন শিশু পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে এগিয়েছে।”
বিদ্যালয়ের ছুটি কমানো প্রসঙ্গে জানান, আপাতত ক্যালেন্ডারের ছুটি কিছুটা কমানোর চিন্তা রয়েছে। তবে ছুটি একীভূত করার মতো সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষকদের দাবিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।
বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে বলেন, “এটি আমাদের প্রাথমিক পরিকল্পনায় ছিল না। কিন্তু দেখা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাস টু থেকেই বৃত্তিকে প্রচারের বিষয় হিসেবে ব্যবহার করছে। অভিভাবকদের পক্ষ থেকেও প্রবল দাবি এসেছে। ফলে আমরা বৃত্তি পরীক্ষা চালু করেছি। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে, পাশাপাশি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতেও মানোন্নয়নের চাপ তৈরি হবে।”
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল পরিবারের সন্তান। অর্থনৈতিক কারণে অনেকেই ঝরে পড়ছে। বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হলে তাদের হাইস্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সহজ হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়।