
মানবদেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো কিডনি, যা রক্ত থেকে বর্জ্য পদার্থ ছেঁকে শরীরকে সুস্থ রাখে। কিডনির সঠিক কার্যকারিতার জন্য এর যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। যদিও বাজারে অনেক ধরনের ডিটক্স পানীয় পাওয়া যায়,
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনিকে প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার রাখতে সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকর উপায় হলো একটি মাত্র পানীয় পান করা—আর তা হলো পানি।
পানি কেন সেরা ডিটক্স পানীয়?
আমাদের শরীরের প্রায় ৬০ শতাংশই পানি। কিডনির প্রধান কাজ হলো রক্ত থেকে বিষাক্ত পদার্থ এবং বর্জ্যগুলো বের করে দেওয়া। এই প্রক্রিয়ায় পানি প্রধান ভূমিকা পালন করে। পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনি তার কার্যক্ষমতা সর্বোচ্চ পর্যায়ে ধরে রাখতে পারে।
১. বর্জ্য পদার্থ বের করে: পানি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত সোডিয়াম, ইউরিয়া এবং অন্যান্য ক্ষতিকর বর্জ্য পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এর ফলে কিডনির ওপর চাপ কমে।
২. কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ: কম পানি পান করলে প্রস্রাব ঘন হয়ে যায়, যা কিডনিতে খনিজ পদার্থ জমা হয়ে পাথর তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। নিয়মিত পর্যাপ্ত পানি পান করলে প্রস্রাব পাতলা থাকে, যা পাথর হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমিয়ে দেয়।
৩. সুস্থ কিডনির মূলমন্ত্র: কিডনির কোষগুলোকে সচল এবং সুস্থ রাখার জন্য শরীরের প্রতিটি কোষকে আর্দ্র রাখা জরুরি। পর্যাপ্ত পানি পান করলে কিডনি তার স্বাভাবিক কার্যক্রম ভালোভাবে পরিচালনা করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদি রোগ থেকে রক্ষা পায়।
কতটুকু পানি পান করা উচিত?
চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রতিদিন অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস (প্রায় ২ থেকে ২.৫ লিটার) পানি পান করা উচিত। তবে, শারীরিক পরিশ্রম, আবহাওয়া এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা অনুযায়ী পানির পরিমাণ ভিন্ন হতে পারে। যেমন— গরমের দিনে বা বেশি ঘামলে আরও বেশি পানি পান করা প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে বলেন, কিডনিকে সুস্থ রাখতে কোনো জটিল বা ব্যয়বহুল পানীয়র প্রয়োজন নেই। একটি সাধারণ অভ্যাসই আপনার কিডনিকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।