
যুক্তরাজ্য সরকার ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া এক লাখের বেশি শিক্ষার্থীর বিষয়ে কঠোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষার্থীদের সতর্কবার্তা পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, তারা যেন দেশ ত্যাগ করে, তা না হলে তাদের জোর করে দেশে পাঠানো হবে।
মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি। মন্ত্রণালয় জানায়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিক্ষার্থী ভিসায় বৈধভাবে যুক্তরাজ্যে আসা অনেক শিক্ষার্থী ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আশ্রয় প্রার্থনা করছেন। এ প্রবণতাকে ‘উদ্বেগজনক বৃদ্ধি’ বলে বর্ণনা করেছে তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথমবারের মতো সরকার শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন ও ই-মেইলে সরাসরি বার্তা পাঠানো শুরু করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে টেক্সট ও ই-মেইল পাঠানো হয়েছে, যাদের শিগগিরই শেষ হতে যাচ্ছে ভিসার মেয়াদ।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুন পর্যন্ত এক বছরে মোট আশ্রয় আবেদনকারীর প্রায় ১৩ শতাংশ ছিলেন শিক্ষার্থী ভিসাধারী। এদের মধ্যে পাকিস্তানের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল সর্বোচ্চ (৫ হাজার ৭০০), এরপর যথাক্রমে রয়েছেন ভারত, বাংলাদেশ ও নাইজেরিয়ার শিক্ষার্থীরা।
যদিও গত বছরের তুলনায় শিক্ষার্থী ভিসাধারীদের আশ্রয় আবেদন কমেছে, তবুও ২০২০ সালের তুলনায় এটি প্রায় ছয় গুণ বেশি। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবশ্য সঠিকভাবে জানায়নি কতজন ভিসা অতিরিক্ত মেয়াদে থাকার পর আবেদন করেছেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সরকার এখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসা স্পনসরশিপ নীতিও কঠোর করছে। চলতি মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভিসা অনুমোদন ও কোর্স সম্পন্ন করার হার আরও কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে। শর্ত পূরণে ব্যর্থ হলে তাদের ভবিষ্যতে ভিসা স্পনসর করার ক্ষমতা ঝুঁকিতে পড়তে পারে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো বার্তায় স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘যদি আপনার আশ্রয়ের আবেদন যথাযথ না হয়, তবে তা দ্রুত প্রত্যাখ্যান করা হবে। আপনার থাকার বৈধ অধিকার না থাকলে দেশ ত্যাগ করতে হবে। আর তা না হলে আপনাকে সরিয়ে দেয়া হবে।’
সরকার বলছে, শিক্ষার্থীদের আশ্রয় প্রার্থনার কারণে আশ্রয়কেন্দ্র ও হোটেলে থাকা শরণার্থীদের জায়গার ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার বলেন, ‘আমরা অবশ্যই প্রকৃত শরণার্থীদের সহায়তা করব। তবে পরিস্থিতি না বদলালে শিক্ষার্থীদের ভিসার মেয়াদ শেষে আশ্রয়ের আবেদন করা উচিত নয়।