
মানবদেহের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি রক্ত ছেঁকে শরীর থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য বের করে দেয়। কিন্তু কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা সহজে ধরা পড়ে না। চিকিৎসকদের মতে, বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দিলেই দ্রুত কিডনি পরীক্ষা করা জরুরি, নইলে দেরি হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে কিডনি সমস্যার প্রধান লক্ষণগুলো হলো:
১. অতিরিক্ত প্রস্রাব বা প্রস্রাব কম হওয়া – হঠাৎ প্রস্রাবের মাত্রা বেড়ে যাওয়া বা কমে যাওয়া কিডনির সমস্যা নির্দেশ করে।
২. প্রস্রাবে রক্ত বা ফেনা দেখা দেওয়া – কিডনির ফিল্টারিং সিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হলে এমনটি হতে পারে।
৩. শরীর ফুলে যাওয়া – চোখ, মুখ, হাত-পা ও গোড়ালিতে হঠাৎ ফোলাভাব কিডনি বিকল হওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
৪. অবিরাম ক্লান্তি ও দুর্বলতা – কিডনি সঠিকভাবে কাজ না করলে শরীরে রক্তশূন্যতা ও টক্সিন জমে ক্লান্তি দেখা দেয়।
৫. পিঠের নিচে বা কোমরে ব্যথা – দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা কিডনিতে পাথর বা সংক্রমণের কারণে হতে পারে।
৬. চুলকানি ও ত্বকের শুষ্কতা – শরীরে বর্জ্য জমে থাকলে ত্বকে চুলকানি বাড়ে।
৭. রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া – উচ্চ রক্তচাপ অনেক সময় কিডনির সমস্যার প্রথম লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা বিশেষভাবে কিডনি সমস্যার ঝুঁকিতে থাকেন। তাই বছরে অন্তত একবার কিডনি পরীক্ষা করা উচিত।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি রোগ শনাক্ত করা গেলে চিকিৎসা ও নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। তাই কোনো উপসর্গ দেখা দিলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।