
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধ নতুন মোড় নিচ্ছে। পশ্চিমাদের সর্বোচ্চ সহায়তা সত্ত্বেও মস্কোর বিরুদ্ধে কার্যকর অগ্রগতি আনতে ব্যর্থ হচ্ছে কিয়েভ। এবার শেষ চেষ্টা হিসেবে ইউক্রেনপন্থী দেশগুলো বাফার জোন তৈরির পরিকল্পনা করছে বলে খবর দিয়েছে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি, যুক্তরাষ্ট্রের এনবিসির বরাতে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শান্তি চুক্তি হলে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মাঝে একটি বাফার জোন তৈরি করা হতে পারে। এর নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্ব নিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই বাফার জোনে মোতায়েন করা হতে পারে ন্যাটোর বাইরের দেশগুলোর সেনা, যেখানে বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের নাম আলোচনায় এসেছে। তবে ওয়াশিংটন কিংবা পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনো দেওয়া হয়নি।
বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিকল্পনা মূলত কিয়েভের ইউরোপীয় সমর্থকদের শেষ চেষ্টা। কারণ পশ্চিমা সামরিক সহায়তা, অস্ত্র ও অর্থনৈতিক সহায়তা সত্ত্বেও ইউক্রেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে নির্ণায়ক অগ্রগতি আনতে পারছে না।
বাফার জোনের মাধ্যমে ড্রোন, স্যাটেলাইট ও গোয়েন্দা সরঞ্জাম ব্যবহার করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে সহযোগী দেশগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করবে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে রাশিয়া এর বিরোধিতা করছে। মস্কো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে কোনো পশ্চিমা বা ন্যাটো সেনা মোতায়েন করা হলে সেটি প্রত্যাখ্যান করা হবে।
এর আগে পলিটিকোর প্রতিবেদনে বাফার জোনের ধারণা উল্লেখ করা হলেও কোনো দেশের নাম বলা হয়নি। সেখানে ফরাসি ও ব্রিটিশ সেনাদের অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। সম্প্রতি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ জোটের দেশগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যারা কিয়েভকে অস্ত্র ও সরঞ্জাম সরবরাহ করছে। তবে অধিকাংশ দেশ স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নিজেদের সেনা যুদ্ধক্ষেত্রে পাঠাবে না।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সতর্ক করেছেন, ইউক্রেনে বিদেশি সেনা মোতায়েন করা হলে তারা সরাসরি রুশ বাহিনীর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে। তিনি আরও জানিয়েছেন, সীমান্ত অঞ্চলে বিশেষ করে কুরস্ক ও ব্রায়ানস্ক এলাকায় নিজস্ব বাফার জোন তৈরি করার পরিকল্পনা করছে মস্কো।
সূত্রঃhttps://www.youtube.com/watch?v=PObQUwbNmE4&list=TLPQMDcwOTIwMjUeip0QbURCYA&index=1