তারেক রহমানকে নিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার স্পষ্ট বার্তা

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসনে থাকার পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার আলোচনা নতুন করে তীব্র হয়েছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমানের বিরুদ্ধে থাকা প্রায় সব আইনি ও রাজনৈতিক বাধা দূর হয়েছে। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে আইনি বাধা না থাকলেও তিনি কবে দেশে ফিরবেন?

সম্প্রতি লন্ডনে নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠকের পর থেকেই তার দেশে ফেরার গুঞ্জন আরও জোরালো হয়েছে। সূত্র জানায়, ঢাকায় তারেক রহমানের বাসভবন ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হচ্ছে।

এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশে ফিরতে চাইলে সরকার সব ধরনের সহায়তা করবে। তিনি বলেন, “তারেক রহমান পাসপোর্টের আবেদন করেছেন কিনা তা জানা নেই। তবে তিনি দেশে ফিরতে চাইলে ট্রাভেল ডকুমেন্ট বা পাসপোর্ট সংক্রান্ত যেকোনো সমস্যা সমাধানে সরকার সহযোগিতা করবে।” তিনি আরও স্পষ্ট করেন, সরকারের পক্ষ থেকে নিজে থেকে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হবে না, দেশে ফেরা সম্পূর্ণ তারেক রহমানের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তারেক রহমানের ঘনিষ্ঠরা বলছেন ২০২৫ সালের মধ্যেই তিনি দেশে ফিরবেন এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলকে নেতৃত্ব দেবেন। তার আন্তর্জাতিক সম্পর্কবিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কোভিদও জানান, একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে তারেক রহমান ২০২৫ সালেই ফিরবেন এবং “বাংলাদেশের মানুষ তাকে এই বছরেই পাবে ইনশাআল্লাহ।”

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর তারেক রহমান ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা সহ অন্যান্য মামলায় খালাস পেয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকেও জানানো হয়েছে, দেশে ফেরার পথে তার কোনো আইনি বাধা নেই। তবুও এখনো তার ফেরার সুনির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারেক রহমানের দেশে ফেরা বিএনপির জন্য বড় ধরনের মোড় ঘোরানো ঘটনা হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *