ধেয়ে আসছে ভারতের ছাড়া পানি, ভয়াবহ বন্যার শঙ্কা!

প্রতিবেশী দেশ ভারত উপচে পড়া বাঁধ এবং স্রোতস্বিনী নদী থেকে নিচু সীমান্ত অঞ্চলে পানি ছাড়তে শুরু করার পর হাজার হাজার মানুষকে সরিয়ে নেয়া শুরু করেছেন পাকিস্তানি কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) পানি ছাড়ার এই পদক্ষেপ নেয়ার আগে ইসলামাবাদকে ‘সম্ভাব্য সীমান্তবর্তী বন্যা’ সম্পর্কে সতর্ক করে নয়াদিল্লি। গেল মে মাসে চারদিনের যুদ্ধের পর এটিই ছিল দুই দেশের মধ্যে প্রথম প্রকাশ্য কূটনৈতিক যোগাযোগ। খবর আল জাজিরা’র।

পাকিস্তানের সবশেষ বন্যা সতর্কতা এবং ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার অভিযান দক্ষিণ এশিয়ার উভয় দেশেই ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকার কারণে শুরু হয়েছে। জুনের শেষ দিক থেকে বন্যায় পাকিস্তানে কমপক্ষে ৮০০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ) জানিয়েছে, তারা পাঞ্জাব প্রদেশের কর্মকর্তাদের কাছে শতদ্রু নদীর পানি বৃদ্ধি ও বন্যার ঝুঁকি সম্পর্কে আগাম সতর্কতা জারি করেছে এবং প্রদেশের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার কাজ চলছে।

এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উদ্ধারকারীরা কাসুর থেকে ১৪ হাজারেরও বেশি মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে এবং ভারতের সীমান্তের কাছে বাহাওয়ালনগর শহর থেকে প্রায় ৮৯ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের সম্প্রচারমাধ্যম জিও নিউজ জানিয়েছে, ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ভারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যার ফলে পাকিস্তানের দিকে প্রবাহিত নদী ও ঝর্ণাধারা ফুঁসে উঠতে পারে।

উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালের বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় সিন্ধু পানি চুক্তির অধীনে তৈরি স্থায়ী ব্যবস্থা সিন্ধু পানি কমিশনের পরিবর্তে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে পাকিস্তানকে বন্যার সতর্কতা জানিয়েছে ভারত। কারণ, গত এপ্রিলে কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে ওই চুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছিল নয়াদিল্লি। সূত্র: আল জাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *