নারীদের তুলনায় পুরুষদের ক্যান্সারে মৃত্যুঝুঁকি বেশি

বিশ্বজুড়ে ক্যান্সার এখনও মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতি বছর লাখো নারী-পুরুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। তবে অনকোলজিস্ট ডা. হরিশ বর্মা জানিয়েছেন, নারীদের তুলনায় পুরুষদের ক্যান্সারে মৃত্যুঝুঁকি অনেক বেশি।

নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি ব্যাখ্যা করেন, কেন পুরুষদের মধ্যে ঝুঁকি বেশি এবং কীভাবে সচেতন হয়ে জীবন বাঁচানো সম্ভব। ডা. বর্মার মতে, নারীদের ক্যান্সার শনাক্ত হয় বেশি, কিন্তু পুরুষদের মৃত্যুহার বেশি। এর মূল কারণগুলো হলো—

ডাক্তার দেখাতে অনীহা: নারীরা নিয়মিত গাইনোকলজিক চেকআপে যান, কিন্তু পুরুষরা সাধারণত গুরুতর সমস্যা ছাড়া চিকিৎসকের কাছে যান না। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের জরিপে দেখা গেছে, ৪৪% পুরুষ বলেন তারা ‘অত্যাবশ্যক’ না হলে ডাক্তার দেখান না।

প্রাথমিক লক্ষণ অবহেলা: অকারণ ওজন কমে যাওয়া, ফোলা বা গিঁট, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, মল-মূত্রের অভ্যাসে পরিবর্তন—এসব লক্ষণ উপেক্ষা করেন অনেকে। এতে রোগ ধরা পড়ে দেরিতে।

সামাজিক মানসিকতা: সাহায্য চাইলে দুর্বল মনে করা হয়—এমন ধারণায় অনেক পুরুষ ব্যথা বা সমস্যাকে গুরুত্ব দেন না।

অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস: ধূমপান, মদ্যপান, লাল মাংস ও প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া, রাত জাগা ও ব্যায়ামের অভাব—এসব অভ্যাস পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, যা ফুসফুস, লিভার, গলা, কোলন ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

শরীরের ‘নম্বার’ না জানা: প্রদাহ, ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স, হরমোন ভারসাম্যহীনতা ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। কিন্তু পুরুষরা সাধারণত পরীক্ষা করান দেরিতে।

করণীয় (ডা. বর্মার পরামর্শ)

শরীরের সংকেত শুনুন, অবহেলা নয়

বছরে একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, অন্ত্র ও হরমোন পরীক্ষা করুন

ধূমপান, মদ্যপানসহ ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস ছাড়ুন
×

ঘুম, ব্যায়াম ও পুষ্টিকর খাবারে গুরুত্ব দিন

স্বাস্থ্য নিয়ে ডাক্তার, সঙ্গী বা বন্ধুদের সঙ্গে খোলামেলা কথা বলুন

ডা. বর্মা বলেন, “দ্রুত পদক্ষেপ জীবন বাঁচায়। নিয়মিত পরীক্ষা করানো দুর্বলতা নয়, বুদ্ধিমত্তা।”

সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *