
পিত্তথলিতে (Gallbladder) পাথর হওয়া একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে গলস্টোন বলা হয়। এটি মূলত কোলেস্টেরল, পিত্তরস ও অন্যান্য উপাদান জমে শক্ত হয়ে তৈরি হয়।
ছোট আকারের পাথর কখনো বুঝতে না দিলেও বড় হলে তীব্র ব্যথা, বমি ও হজমের সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট কারণে কারও কারও পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।
চলুন জেনে নিই কারা এ ঝুঁকিতে বেশি—
১. বয়স ও লিঙ্গ
৪০ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। বিশেষ করে নারীরা পুরুষদের তুলনায় বেশি ঝুঁকিতে থাকেন।
২. অতিরিক্ত ওজন ও স্থূলতা
যাদের শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমে, তাদের মধ্যে গলস্টোনের ঝুঁকি বেশি থাকে। স্থূলতার কারণে পিত্তরসে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
৩. অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার, ফাস্ট ফুড, তেলেভাজা বা প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়মিত খেলে পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
৪. দ্রুত ওজন কমানো
হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওজন কমালে শরীরে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যা গলস্টোন তৈরি করতে পারে।
৫. পারিবারিক ইতিহাস
পরিবারে কারও আগে পিত্তথলিতে পাথর থাকলে উত্তরাধিকার সূত্রে ঝুঁকি বেড়ে যায়।
৬. ডায়াবেটিস রোগীরা
ডায়াবেটিস আক্রান্তদের মধ্যে গলস্টোন হওয়ার ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি।
৭. গর্ভবতী নারী
গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে নারীদের পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।
শেষ কথা:
পিত্তথলিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকলে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা, সুষম খাবার খাওয়া, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পর্যাপ্ত পানি পান করা জরুরি। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।