
বাংলাদেশে তরুণদের মধ্যে ফুসফুসের ক্যান্সারের হার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য প্রতিবেদন ও বিশেষজ্ঞ মত অনুযায়ী, ধূমপান, দূষিত বায়ু, অনিয়মিত জীবনযাপন এবং রাসায়নিক সংস্পর্শ এর প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ফুসফুসের ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা না পড়লে এটি প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই তরুণদের এখনই সচেতন হয়ে লক্ষণগুলো চিনে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।
ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ যেগুলো তরুণদের জানা উচিত
দীর্ঘস্থায়ী কাশি, যা সপ্তাহ বা মাস ধরে চলে
শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসনালীর ব্যথা
বুক বা কাঁধে ব্যথা
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া
বারবার ফ্লু বা শ্বাসযন্ত্রে সংক্রমণ হওয়া
প্রতিরোধে করণীয়
চিকিৎসকদের মতে, প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে ফুসফুসের ক্যান্সারের চিকিৎসা অনেকাংশে সফল হয়। তাই তরুণদের জন্য–
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
ধূমপান ও তামাকজাত পণ্য সম্পূর্ণ পরিহার
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস
পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও নিয়মিত ব্যায়াম অপরিহার্য।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরও সতর্ক করেছেন, শহরের অতিরিক্ত দূষণ, রাসায়নিক পদার্থ বা ধূলিকণার সংস্পর্শে আসা ফুসফুসের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়ায়। তাই তরুণদের উচিত এসব ঝুঁকিপূর্ণ অভ্যাস ও পরিবেশ থেকে দূরে থাকা।
ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধের সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো সচেতনতা। সময়মতো সতর্ক হওয়া, প্রাথমিক লক্ষণ চিহ্নিত করা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনধারা অনুসরণ করলে তরুণরা এই মরণব্যাধি থেকে অনেকাংশে সুরক্ষিত থাকতে পারবেন।