
হৃদযন্ত্র পর্যাপ্ত অক্সিজেন না পেলে নানা ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়। কিন্তু অসচেতনতার কারণে অনেক সময় সেসব লক্ষণ আমরা গুরুত্ব দিই না। চিকিৎসকরা বলছেন, হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আগে প্রায় ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ রোগী আসন্ন বিপদের কোনো পূর্বাভাস পান না। অথচ এটি এক ধরনের মেডিক্যাল ইমারজেন্সি, তাই সময়মতো চিকিৎসা পাওয়া জরুরি।
ইবনে সিনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ও কার্ডিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ আলী জানান, “হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, কিডনির অসুখ, রক্তে কোলেস্টেরল বেশি থাকা কিংবা পরিবারের কারও হার্টের সমস্যা থাকলে নিজেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিতে ধরতেই হবে। এই অবস্থায় অবশ্যই বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে।”
হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ
হঠাৎ অকারণে ঘাম হওয়া
বুকে ব্যথা হওয়া
বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
মাথা ব্যথা
মনোযোগ কমে যাওয়া
মাথা ঘোরা
অস্বাভাবিক হৃৎস্পন্দন
হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
বুকের ব্যথা: গ্যাস্ট্রিক নাকি হার্টের সমস্যা?
অনেকে বুকের ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিক ভেবে ভুল করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন:
যদি ব্যথা বুকের মাঝখান থেকে শুরু হয়ে ডানে বা বাঁয়ে ছড়িয়ে পড়ে
ঘাম হতে থাকে
বমি বমি ভাব দেখা দেয়
তাহলে সেটি হার্টের সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। আর যদি ব্যথা ৫ মিনিটের বেশি স্থায়ী হয়, তবে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
ডা. আলী আরও বলেন, “যদি আগে হার্ট অ্যাটাক হয়ে থাকে, অথবা হার্টের অসুখ, ডায়াবেটিস কিংবা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে, তবে বুকের ব্যথাকে কোনোভাবেই হালকাভাবে নেওয়া যাবে না।”