
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন দুই ধাপ বাড়িয়ে ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর। একইসঙ্গে সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিভাগীয় উপপরিচালক পর্যন্ত কর্মকর্তাদের বেতন স্কেলও একধাপ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের সূত্র অনুযায়ী, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন দশম গ্রেডে উন্নীত করা হয়েছে। তবে এতে সহকারী শিক্ষক ও সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কারণ বর্তমানে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারাও দশম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন, ফলে তদারকি কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের একই গ্রেডে থাকা প্রশাসনিক অসামঞ্জস্য তৈরি করেছে।
এছাড়া সহকারী শিক্ষকরা এখন ১৩তম গ্রেডে রয়েছেন, যা প্রধান শিক্ষকদের সঙ্গে তিন গ্রেডের পার্থক্য তৈরি করেছে। বেতন কাঠামোয় এই ব্যবধানের ফলে ইনক্রিমেন্টসহ প্রায় ১৫ হাজার টাকার পার্থক্য দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষ দূর করতেই বেতন স্কেল উন্নীত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, এবং অর্থ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামান জানান, সহকারী শিক্ষকদের পদবী পরিবর্তন করে ‘শিক্ষক’ করা হয়েছে এবং তাদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ইউপিইও), জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিইও) এবং বিভাগীয় উপ-পরিচালকদের (ডিডি) স্কেল একধাপ বাড়ানোর বিষয়েও প্রস্তাবনা তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, অর্থ উপদেষ্টা, অর্থ সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বেতন বৃদ্ধির যৌক্তিকতা তুলে ধরলে অর্থ মন্ত্রণালয় তা গ্রহণ করেছে। বিষয়টি নতুন পে-কমিশনের কাছেও উপস্থাপন করা হচ্ছে।