
সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে কর্মজীবী নারীরা বর্তমানে ছয় মাসের মাতৃত্বকালীন ছুটি পেলেও পুরুষদের জন্য কোনো পিতৃত্বকালীন ছুটির বিধান নেই। অথচ নবজাতক ও তার মায়ের দেখাশোনা ও মানসিক সহায়তার ক্ষেত্রে বাবার সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রেক্ষাপটে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫ দিনের পিতৃত্বকালীন ছুটি প্রদানের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার কাছে একটি সারসংক্ষেপ পাঠানো হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার কাছে পাঠানো সারসংক্ষেপে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মাতৃত্বকালীন ছুটি থাকলেও পিতৃত্বকালীন ছুটি নেই। অথচ সন্তানের জন্মের পর মা শারীরিকভাবে দুর্বল থাকেন এবং মানসিকভাবে বিষণ্নতায় ভোগেন।
বাবার উপস্থিতি ও যত্নে মা মানসিক প্রশান্তি পান এবং নবজাতকের সঙ্গে বাবা-মায়ের বন্ধন দৃঢ় হয়। বাংলাদেশে অধিকাংশ শিশু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়ায় মা ও নবজাতক উভয়েই জন্মের পর নাজুক অবস্থায় থাকেন।
সামান্য অবহেলাতেও ঝুঁকি তৈরি হয়। কর্মজীবী বাবাদের ছুটি না থাকায় এ সময়ে মা ও নবজাতকের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
সারসংক্ষেপে বলা হয়, পিতৃত্বকালীন ছুটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং বর্তমানে অন্তত ৭৮টি দেশে প্রচলিত। বাংলাদেশে বেসরকারি পর্যায়ে ব্র্যাক, আড়ং ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়সহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে পিতৃত্বকালীন ছুটি রয়েছে।