একটা মা’র্ডার করেছি আরও ১০০ টা মা’র্ডার করব

‘আমি পূর্বপাড়ার কাঞ্চন। একটা মার্ডার করেছি, আরও ১০০টা মার্ডার করবো’। এক ভিডিওতে এভাবেই বলছিলেন খুনের মামলার প্রধান আসামি কাঞ্চন। গাইবান্ধায় রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামি কাঞ্চনের এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) বিকেলে এমন একটি ভিডিও নজরে আসে এই প্রতিবেদকের। যা গতকাল রাতে ইংরেজিতে “শাওন জামান” নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করা হয়।

ভিডিওটি ফেসবুকে শেয়ার করেছেন একজন আইনজীবী। তার দাবি তিনি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী এবং কাঞ্চনের হাতে তার পরিবার বারবার হুমকি ও হামলার শিকার। ৪৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, কাঞ্চন প্রকাশ্যেই হুমকি দিচ্ছেন—তিনি একটি হত্যা করেছেন, প্রয়োজনে আরও শতাধিক করতে পারেন।

আইনজীবীর পোস্টে বলা হয়, পূর্বপাড়ায় তাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর ভেঙে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। আর এই হুমকি যিনি দিয়েছেন তিনি চাঞ্চল্যকর রকি হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি কাঞ্চন। সে একজন মাদক ব্যবসায়ী বলেও তিনি পোস্টে দাবি করেছেন।

এছাড়া সে (কাঞ্চন) একাধিকবার তার বাসায় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে।‌ পুলিশকে একাধিকবার জানালেও কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি তারা। সর্বশেষ গতকাল (বুধবার) রাতে করা জিডিকেও অভিযোগ হিসেবে রেকর্ড করেছে থানা।

তিনি বলেন, এটা কী সেই নতুন বাংলাদেশ? যেখানে হত্যা মামলার আসামি আইনজীবীর পরিবারের ওপর সন্ত্রাস চালায় আর প্রশাসন চুপ থাকে? একইসঙ্গে তিনি দেশবাসীর কাছে পরিবারের নিরাপত্তা কামনা করেন।

সূত্র জানায়, অভিযুক্ত কাঞ্চন শহরের পূর্বপাড়া এলাকার নওয়াব আলীর ছেলে। এই কাঞ্চন ২০২১ সালের ১১ জুলাই ফুলছড়ি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রকি হত্যা মামলার প্রধান আসামি। ওই মামলায় বর্তমানে কাঞ্চন জামিনে রয়েছেন।

গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় গতকাল রাতে প্রাচীর ভাঙচুর ও হুমকি-ধামকির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এ বিষয়ে গাইবান্ধার পুলিশ সুপার নিশাত এঞ্জেলা মোবাইল ফোনে বলেন, ভিডিওটি এখনও দেখিনি। তদন্ত করে দেখা হবে। এসময় পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা মিললেও অভিযুক্ত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান পুলিশ সুপার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *