
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দুই পথচারীসহ উভয় পক্ষের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় উপজেলার নিশ্চিন্তপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় বিএনপির কয়েক নেতা-কর্মী ও বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ জালালউদ্দিন ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তানভীর হুদার অনুসারীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গতকালের সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
ঘটনার জন্য দায়ী করে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ, উপজেলা বিএনপি ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্র জানায়, গতকাল সন্ধ্যায় জালালউদ্দিনের অনুসারীরা উপজেলার নিশ্চিন্তপুর বাজার এলাকায় ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী’ মিছিল বের করেন। একই সময়ে তানভীর হুদার অনুসারীরাও সেখানে মিছিল করার ঘোষণা দেন। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হলে সংঘর্ষ এড়াতে থানা-পুলিশের কয়েকজন সদস্য ওই এলাকায় অবস্থান নেন।
পরে ওই দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সমঝোতার পর জালালের পক্ষের অনুসারীরা সেখানে প্রথম মিছিল বের করেন। মিছিলটি শেষ হতে না হতেই তানভীর হুদার পক্ষের লোকজনও আচমকা মিছিল বের করেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষই লাঠিসোঁটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুজন পথচারীসহ মোট ১০ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে রাত আটটার দিকে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জালালের পক্ষের অনুসারী ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন অভিযোগ করেন, তারা শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলেন। পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষের কর্মীরা তাদের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে ওই হামলা চালিয়েছেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
এদিকে নাম ও পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তানভীর হুদার পক্ষের দুই নেতা অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত নন। বরং জালালের পক্ষের লোকজনই তাদের ওপর আগে হামলা করেন।
এ ঘটনায় থানায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানান মতলব উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল হক। তিনি বলেন, ঘটনার আগেই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।