
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় এইচ-ওয়ানবি ভিসার ওপর এক লাখ ডলারের ফি আরোপের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বড় ধাক্কা খেল আইটি খাত। অ্যামাজন, মাইক্রোসফটের মতো বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বিদেশে
থাকা কর্মীদের দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে নির্দেশ দেয়। হঠাৎ করে কর্মীরা টিকিট কাটতে গেলে দেখা যায় আকাশছোঁয়া বিমানভাড়া। নিউইয়র্ক–দিল্লি একমুখী টিকিট মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে ৪২০ ডলার থেকে লাফিয়ে পৌঁছায় প্রায় ৯০০ ডলারে।
তদন্তে বেরিয়ে আসে, এ ভাড়াবৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এক অদ্ভুত অনলাইন ফোরাম ‘ফোরচান’। তারা ঘোষণা দেয় এক অভিনব কর্মসূচি—‘অপারেশন ক্লগ দ্য টয়লেট’। পরিকল্পনা ছিল ভারতীয়দের আমেরিকা ফেরা আটকে দেওয়া।
কৌশল হিসেবে তারা বিমানসংস্থার ওয়েবসাইটে আসন রিজার্ভ করে কিন্তু টাকা দিয়ে কনফার্ম করে না। ফলে ১৫ মিনিটের জন্য সেই আসন আটকে যায় এবং প্রকৃত ক্রেতারা টিকিট পান না। এতে স্বাভাবিকভাবেই টিকিটের দাম হু-হু করে বেড়ে যায়।
এবার প্রশ্ন উঠেছে—এই ঘটনার সঙ্গে টয়লেটের সম্পর্ক কী? ফোরামের ব্যাখ্যা, ভারতীয়রা যেখানে থাকুক না কেন, সুযোগ পেলেই টয়লেট বানিয়ে ফেলে—স্টেশন, ফুটপাথ কিংবা নদীর ধারে। তাই মজা করে এই অভিযানের নাম রাখা হয়েছে ‘ক্লগ দ্য টয়লেট’। অর্থাৎ যেমনভাবে টয়লেট আটকে যায়, সেভাবেই আটকে দেওয়া হবে বিমানের সিট।
ঘটনার খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই হাস্যরোল শুরু হয়। কেউ লিখেছেন, “ভারতীয়দের টিকিট আটকানো গেলেও তাদের টিফিন ক্যারিয়ার আটকানো যাবে না।” আবার কেউ রসিকতা করে বলেছেন, “টয়লেট ক্লগ হলে পানি ঢাললেই খোলে, তবে এবার ভারতীয়দের জন্য কোন ফ্ল্যাশ ব্যবহার হবে?”
সব মিলিয়ে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত, কর্পোরেট আতঙ্ক আর অনলাইন ফোরামের কৌতুক মিলে এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে ‘অপারেশন ক্লগ দ্য টয়লেট’।