
পায়ের মধ্যে হঠাৎ ঝি ঝি বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি অনেক সময় শুধু ক্লান্তির সংকেত নয়। এটি শরীরে বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক লক্ষণও হতে পারে। ডায়াবেটিস থেকে শুরু করে ভিটামিন ঘাটতি, থাইরয়েড বা স্নায়ুর সমস্যা—যেকোনো কারণে এই সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই পায়ের এই অস্বাভাবিক অনুভূতিকে উপেক্ষা করা ঠিক হবে না।
১. ডায়াবেটিসের সঙ্কেত
পায়ের মধ্যে ঝি ঝি বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি ডায়াবেটিসের কারণে স্নায়ু ক্ষতি (নিউরোপ্যাথি) নির্দেশ করতে পারে।
২. ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি
এই ভিটামিনের অভাবে পায়ের স্নায়ু দুর্বল হয়ে ঝি ঝি ভাব ও জ্বালা দেখা দিতে পারে।
৩. পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি
স্নায়ু সমস্যার কারণে পায়ে প্রচণ্ড ঝি ঝি বা জ্বালা অনুভূত হয়।
৪. থাইরয়েডের সমস্যা
হাইপোথাইরয়েডিজম বা হাইপারথাইরয়েডিজমে পায়ে তাড়াতাড়ি ঝি ঝি ভাব তৈরি হতে পারে।
৫. রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা
পায়ের রক্ত সঠিকভাবে চলাচল না করলে ঝি ঝি ও ঠান্ডা ভাব হতে পারে।
৬. ফুট ক্যান্সার বা ক্ষত
পায়ের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষত বা সংক্রমণ থাকলে ঝালাপোড়া অনুভূতি হতে পারে।
৭. কিডনির সমস্যা
কিডনি ঠিকমতো কাজ না করলে শরীরে ইউরিয়া জমা হয়ে পায়ের স্নায়ুতে ঝি ঝি ভাব তৈরি করতে পারে।
৮. হাই ব্লাড সুগার
রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণহীন হলে পায়ের নখ বা ত্বকে জ্বালা অনুভূত হতে পারে।
৯. ম্যাল্টিফ্যাক্টরিয়াল নিউরোপ্যাথি
সঙ্গে সঙ্গে স্নায়ু ক্ষয় এবং অন্যান্য রোগের কারণে ঝি ঝি ভাব দেখা দিতে পারে।
১০. ফ্যাটি লিভার বা লিভার সমস্যা
লিভারের সমস্যা থেকে স্নায়ুর উপর প্রভাব পড়ে, যা পায়ের ঝি ঝি ভাবের কারণ হতে পারে।
পায়ের ঝি ঝি বা জ্বালাপোড়া অনুভূতি কখনোই হালকাভাবে নেওয়া ঠিক নয়। এটি শরীরের সংকেত হতে পারে কোনো গুরুতর রোগের। সময়মতো চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য অত্যন্ত জরুরি।