পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে যেতে পারবে যেসব বাংলাদেশিরা

আয়তনের দিক থেকে বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম দেশ ভারত। এখানে নিজ দেশের নাগরিক ছাড়াও বসবাস করেন বিভিন্ন দেশের মানুষ। যদিও দেশটিতে শরণার্থী বিষয়ক কোনো স্বতন্ত্র জাতীয় আইন নেই, তবে ১৯৫৯ সালে জওহরলাল নেহরুর প্রদত্ত নীতির ভিত্তিতেই ভারত প্রতিবেশী দেশ থেকে আসা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে।

তবে এবার নতুন করে শরণার্থী গ্রহণের নিয়ম জারি করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয়ের বরাতে প্রকাশিত ওই নিয়ম অনুযায়ী আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সংখ্যালঘুরা যদি ধর্মীয় সহিংসতার শিকার হন, তবে তারা বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসা ছাড়াই ভারতে আশ্রয় নিতে পারবেন।

নতুন বিধি অনুযায়ী—

* *হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পারসি ও খ্রিস্টানরা* ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে প্রবেশ করলে পাসপোর্ট বা ভ্রমণ নথি ছাড়াই সেখানে বসবাসের অনুমতি পাবেন।
* যেসব ব্যক্তির ভ্রমণ নথির মেয়াদ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হবে না।
* গেল বছর কার্যকর হওয়া নাগরিকত্ব আইনের আওতায় এই শ্রেণির শরণার্থীরা ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ারও সুযোগ পাবেন।

বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আগের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে আশ্রয় নেওয়ার শেষ সময়সীমা ছিল ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু নতুন বিধানে সেই সময়সীমা ১০ বছর বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট ছয় ধর্মীয় গোষ্ঠীর শরণার্থীরা আরও দীর্ঘ সময় ধরে বৈধ নথি ছাড়াই ভারতে থাকতে পারবেন।

তবে আইনে বলা হয়েছে, নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর বাইরে অন্য কেউ বৈধ পাসপোর্ট বা ভিসা ছাড়া ভারতে প্রবেশ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এত গুরুত্বপূর্ণ একটি আইন কার্যত বিনা প্রচার ও বিনা বিতর্কেই পাশ হয়ে গেছে। এতে প্রতিবেশী দেশগুলোর সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে ভারতে চলে আসতে উৎসাহিত করা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *