
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় ‘বাংলায় কথা বলার’ কারণে বাংলাদেশি আখ্যা দিয়ে দুই যুবককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, কলকাতার সেলদাহ ব্রিজ এলাকায় দুজন তরুণকে হেনস্তা করেন স্থানীয় এক দোকানদার। তারা দুজনেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
মোবাইল আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র কিনতে গিয়ে দরাদরির একপর্যায়ে ওই দোকানদারের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ রয়েছে, দোকানদার তাদের ‘বাংলাদেশি’ বলে কটূক্তি করেন এবং হিন্দিতে কথা বলার সময় বলেন,
“তোমরা বাংলাদেশি, তোমাদের দেখে নেব।” এরপরই মারধর করা হয় দুই শিক্ষার্থীকে। এমনকি ছুরি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টার অভিযোগও তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
এর আগে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে—হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, ওডিশা ও দিল্লির বিভিন্ন এলাকায়ও বাংলাভাষী নাগরিকদের বাংলাদেশি বলে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। এমনকি দিল্লি পুলিশের এক সদস্য বাংলা ভাষাকে ‘বাংলাদেশি ভাষা’ বলেও মন্তব্য করেছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ঘটনা নিয়ে তীব্র সমালোচনা চলছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। সাধারণ মানুষ বলছেন, “নিজেদের মাতৃভাষায় কথা বলাটাই আজ অপরাধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
সূত্র: ইত্তেফাক, নিউজডে