
ঢাকার নবাবগঞ্জে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবেশপর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ায় যমুনা রায় (২৭) নামে এক শিক্ষিকা আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে নিজ বাড়ি থেকে সুরতহাল শেষে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। নিহত শিক্ষিকা যমুনা রায় উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যানশ্রী গ্রামের নরেন্দ্র রায়ের মেয়ে।
তিনি শিকারীপাড়া টি.কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষিকা ছিলেন। সূত্র জানায়, গতকাল মঙ্গলবার সরকার কর্তৃক বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রবেশপর্যায়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
তাতে যমুনা রায় অকৃতকার্য হন। নিজ বাড়িতে পরিবারের সাথে রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত আনুমানিক ২টার দিকে পাশের কক্ষ থেকে তার মা যমুনার গলায় ওড়না পেছিয়ে ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলে থাকতে দেখেন।
বেলা ১১টার দিকে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে দুপুরে লাশ থানায় আনা হয়।
জানা যায়, শিক্ষিকা যমুনা রায় সরকারি দোহার নবাবগঞ্জ কলেজের বাংলা বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। ২০২৩ সালে শিকারীপাড়া টি.কে.এম উচ্চ বিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন বাংলা শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করেন।
নবাবগঞ্জ থানার বারুয়াখালী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ, পরিদর্শক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ধারণা করা হচ্ছে, শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবুও অধিকতর তদন্তে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।