ভাতা নিয়ে সমাজসেবা অধিদপ্তরের নতুন সিদ্ধান্ত!

ভাতা গ্রহণে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দিয়ে নিবন্ধিত সিম কার্ড বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। শুধু নগদ বা বিকাশ নয়, আর্থিক সেবা দেয় এমন যেকোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভাতার টাকা নেওয়া যাবে। গত জুলাই মাস থেকে নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, আগে ভাতার জন্য আবেদনপত্রে পরিবারের যে কারো মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করা যেত।

বিশেষ করে গ্রামের দরিদ্র বয়স্ক ব্যক্তিরা মুঠোফোন ব্যবহারে অভ্যস্ত না হওয়ায় নাতি-নাতনি বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের মুঠোফোন নাম্বার দিতেন। তবে এ বিষয়ে টাকা না পাওয়ার বিভিন্ন অভিযোগ জমা পড়েছে। ফলে ব্যক্তির নিজস্ব নিবন্ধিত সিমকার্ড বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। নতুন ব্যবস্থায় এ ধরনের সমস্যা থাকবে না বলে মনে করছে অধিদপ্তর।

বিভিন্ন ধরনের ভাতা

সমাজসেবা অধিদপ্তর বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, বেদে জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, হিজড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন, চা জনগোষ্ঠী ও অনগ্রসর ভাতা দিয়ে থাকে। সারা দেশে এসব ভাতাভোগীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগের পরিচালক মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘নতুন নিয়ম অনুসারে ভাতাভোগীকে অবশ্যই নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সিম কার্ড নিবন্ধন করতে হবে। সেসব সিম কার্ডে, অর্থাৎ ওই মুঠোফোন নাম্বারে ভাতার টাকা দেওয়া হবে।

তবে খুব অল্প সংখ্যক যারা ফোন ব্যবহার করেন না তাদের আলাদাভাবে পর্যবেক্ষণে রাখবে স্থানীয় সমাজসেবা কার্যালয়।’
১৫ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ একটি পরিপত্র জারি করে জানায়, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও অন্যান্য নগদ অর্থ বিতরণের ক্ষেত্রে উপকারভোগী নিজে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যাংক (এজেন্ট ব্যাংক) বেছে নেবেন। এক্ষেত্রে বিতরণকারী মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দফতর বা সংস্থা কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিচালক আরো বলেন, এই সিদ্ধান্ত জুলাই মাস থেকে কার্যকর হয়েছে। ভাতাভোগীরা নিজেদের সুবিধামতো প্রতিষ্ঠান বেছে নিচ্ছেন।

অনেকে আগে যে প্রতিষ্ঠানের অ্যাপের মাধ্যমে ভাতা নিতেন, সেই প্রতিষ্ঠান পাল্টিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *