
২০২৫ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত থেকে রপ্তানি হওয়া পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন, যা কার্যকর হতে যাচ্ছে ৭ আগস্ট থেকে।
তবে এটাই শেষ নয়—রাশিয়া থেকে তেল আমদানির জেরে এবার আরও বেশি শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন তিনি। ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়া যখন ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাচ্ছে, তখন ভারত তাদের কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনছে—এটা বরদাশত করা যায় না।”
এমন মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা বলেন, রাশিয়া থেকে তেল আমদানি ভারতের “জাতীয় স্বার্থ”, আর এই স্বার্থ রক্ষায় যেকোনো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত দিল্লি।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরও যুক্তরাষ্ট্র নিজেই রাশিয়ার সঙ্গে পারমাণবিক, রাসায়নিক এবং প্রযুক্তি খাতে বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ২০২৪ সালে রাশিয়ার সঙ্গে প্রায় ৬,৭৫০ কোটি ইউরোর বাণিজ্য করেছে, যা ভারতের চেয়ে অনেক বেশি।
ভারতের দাবি, সস্তা তেল আমদানি শুধু অর্থনৈতিক নয়, বরং দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা ও জনগণকে স্বস্তি দেওয়ার কৌশল। মস্কো থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্তে এক সময় ওয়াশিংটনই তাদের উৎসাহ দিয়েছিল, যাতে বৈশ্বিক বাজারে চাপ কমে। এখন সেই নীতির জন্যই ট্রাম্পের চাপকে ভারত “যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী অবস্থান” হিসেবে দেখছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন যেখানে ভারতের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্বে রয়েছে, সেখানে ট্রাম্পের এই হুমকি এবং ভারতের পাল্টা কড়া জবাব ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সম্পর্কেও চাপ তৈরি করতে পারে।