ক্ষুধার্থ গাজাবাসীর সাথে তামাশা, ইসরাইলি চক্রান্তে যোগ দিলো আমিরাত-জর্ডান

গাজায় ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছাতে কৌশলগত বিরতি ঘোষণা করেছে ইসরাইল। এরপরেও অনাহারে থাকা গাজার কপাল খোলেইনি। সেখানে লোক দেখানো মানবিকতার নতুন নাটক মঞ্চস্থ হচ্ছে।

গাজায় বিমানে করে ত্রাণ ফেলছে জর্ডান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু জর্ডান ও আমিরাতের পতাকা লাগানো সেই ত্রাণ আকাশে দেখা গেলেও— ছোঁয়া যায় না। কারণ, যেসব এলাকায় ত্রাণ ফেলা হচ্ছে, সেখানে ইসরাইলি সেনারা পাহারা দিচ্ছে। ত্রাণের টানে কেউ কাছে গেলেই নির্বিচারে গুলি।

জীবন ঝুঁকি নিয়ে খাবার কুড়াতে যাওয়া গাজাবাসীর কাছে এটি এক বিভীষিকাময় খেলা— খাবারের জন্য জীবনবাজি ধরার নির্মম বাস্তবতা। জর্ডান আর আমিরাত গর্ব করে বলছে, গাজায় তারা মানবিক সহায়তা পাঠাচ্ছে।

কিন্তু গাজার মানুষের চোখে তা যেন কাঁচা রসিকতা। উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর মতো এই অমানবিক ‘সহায়তা’ আসলে গাজাবাসীর ক্ষুধাকে উপহাস করছে। যেন ক্ষুধার্তকে খাবার দেখিয়ে আবার কেড়ে নেওয়ার এক নির্মম পরিহাস।

তথাকথিত মানবিকতার আড়ালে এই আরব দুই দেশ ইসরাইলের হাতকেই শক্তিশালী করছে। গাজাবাসীর দুর্দশাকে আরও গভীর করছে। তাদের এই ত্রাণ বিতরণের ধরণ ইসরাইলের দখলদারিতে নতুন কৌশলকে বৈধতা দিচ্ছে।

এই ঘটনা গাজাবাসীর মনে গভীর ক্ষোভ ও অবিশ্বাস তৈরি করছে। কারণ, তাদের চোখে জর্ডান-আমিরাত এখন আর ত্রাতা নয়— বরং নীরব ভিলেন।
কারণ, যে ত্রাণ পৌঁছায় না বরং মৃত্যু ডেকে আনে, তা কিভাবে সহায়তা হয়— এমন প্রশ্ন তুলছেন গাজার বাসিন্দারা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *