ইসরায়েলের জন্য বড় দুঃসংবাদ!

মধ্যপ্রাচ্য যেন আবারো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরাইল সংঘাতের পর অনেকেই ধারণা করেছিলেন, ইরান সামরিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছে। কিন্তু সেই ধারণা এখন ভ্রান্ত প্রমাণিত হচ্ছে।

একের পর এক কৌশলগত চমক দেখিয়ে ইরান বুঝিয়ে দিচ্ছে—তারা শেষ হয়ে যায়নি, বরং ফিরছে আরও ভয়ংকর রূপে।
চীনের কাছ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র চালান পাওয়ার পর এবার তারা দেখালো আরও বড় চমক—রাশিয়ার সহায়তায় মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করল ইরান।

শুক্রবার আল-জাজিরা জানায়, ইরান রাশিয়ান উৎক্ষেপণযান ব্যবহার করে ‘নাহিদ-২’ নামের একটি যোগাযোগ স্যাটেলাইট সফলভাবে মহাকাশে পাঠিয়েছে। ১১০ কেজি ওজনের এই স্যাটেলাইটটি পুরোপুরি ইরানি প্রকৌশলীদের ডিজাইন করা—যা তাদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতার একটি যুগান্তকারী উদাহরণ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সাফল্য শুধু যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নয়—এটি ইরানের সামরিক শক্তির দিকেও একটি স্পষ্ট বার্তা। মহাকাশ প্রযুক্তি অর্জন মানেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষমতা বহুগুণ বাড়ানোর সুযোগ।
আর সেটাই ইসরাইলের জন্য এক ভয়াবহ সংকেত।

ইয়েমেনি-আমেরিকান নিরাপত্তা বিশ্লেষক ফাতিমা আল আসরা মন্তব্য করেছেন—”স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে যে প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়, তা সহজেই বিস্ফোরক কিংবা অস্ত্রবাহী উৎক্ষেপণের কাজে ব্যবহার করা যায়। ফলে এই উৎক্ষেপণ একটি পরোক্ষ সামরিক হুমকি হিসেবেই বিবেচিত হচ্ছে।”

অবশ্য ইরান দাবি করছে, এই স্যাটেলাইট সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তারা বলছে, এটি মানবকল্যাণ ও যোগাযোগের উন্নয়নের উদ্দেশ্যে নেওয়া উদ্যোগ।

তবে সময় ও প্রেক্ষাপট বলছে ভিন্ন কথা। ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন ইরানকে লক্ষ্য করে হামলার হুমকি দিচ্ছেন, ঠিক তখনই রাশিয়ার সহায়তায় ইরানের মহাকাশ অভিযানে নামা পশ্চিমাদের মনে সন্দেহ আরও গভীর করে তুলেছে।

সব মিলিয়ে, বিশ্লেষকদের মতে—ইরান আবার সেই পুরনো ভয়ংকর চেহারায় ফিরে আসছে। আর এই প্রত্যাবর্তন শুধু ইসরাইল নয়, গোটা পশ্চিমা বিশ্বের নিরাপত্তা কাঠামোকে নতুন করে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *