
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটি হলো সকদিরামপুর দাখিল মাদ্রাসা।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জের সকদিরামপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে ৪ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও কেউ পাস করতে পারেনি। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত এই মাদ্রাসাটি ১৯৮৪ সালে এমপিওভুক্ত হয়। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে প্রধান শিক্ষকসহ মোট ২৪ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও মাত্র ৭ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।
উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ফরিদগঞ্জে এসএসসিতে পাসের হার ৫৩.৪৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৩ জন। অন্যদিকে, দাখিলে পাসের হার ৭৬.৭৪ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। এ ছাড়া এসএসসি ভোকেশনালে পাসের হার ৬৩.৮৫ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন। তবে, দাখিলে সকদিরামপুর দাখিল মাদ্রাসা থেকে কেউ পাস করেনি।
২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, ফরিদগঞ্জের ৪৭টি মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে মোট ৩৫৭৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৯১২ জন পাস করেছে। পাসের হার ৫৩.৪৪ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৩ জন। এর মধ্যে ফরিদগঞ্জ আবিদুর রেজা পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ১০ জন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।
দাখিলে ৫২টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ১৬৮৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১২৯৩ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২ জন। পাসের হার ৭৬.৭৪ শতাংশ। পুরান রামপুর আলিম মাদ্রাসা থেকে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ৪ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে।
এসএসসি ভোকেশনালে ৩টি প্রতিষ্ঠানের ৮৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫৩ জন পাস করেছে। পাসের হার ৬৩.৮৫ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন।
সকদিরামপুর দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে ভালো ফলাফল করে আসছে। ২০২৪ সালেও দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ভালো ছিল। করোনাকালে (২০১৯ সালের ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার কারণে ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষায় মাত্র ৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। তাদের সবাই মাত্র একটি বিষয়ে ফেল করেছে। তা ছাড়া, আমাদের শিক্ষক চাহিদা অনেক কম। এ কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ ভারপ্রাপ্ত উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. গাউছুল আজম পাটওয়ারী বলেন, এ উপজেলায় এবার এসএসসি ও সমমানের ফলাফল ভালো হয়েছে। তবে একটি প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। কেন তাদের কোনো শিক্ষার্থী পাস করতে পারেনি, সেই বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। ওই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।