মেয়েকে হ’ত্যার পর নদীতে ভাসিয়ে দিয়ে আটক বাবা

কক্সবাজারের উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী কোনার পাড়ায় আয়ামে জাহেলিয়াত যুগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। নেশাগ্রস্ত পিতা তার চারবছর বয়সী শিশু কন্যাকে হত্যার পর নদীতে মরদেহ ভাসিয়ে দিয়েছে। পরে জনতার হাতে আটক হয়েছেন পাষণ্ড পিতা।

শনিবার (৫ জুলাই) রাতে হৃদয়বিদারক এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন উখিয়া থামার ওসি আরিফ হোসেন। নেশাগ্রস্ত ঘাতক বাবা আমান উল্লাহ (৪০)ওই এলাকার মৃত নুরুল আলমের ছেলে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নেশাকরে বাড়ি আসার পর আমান উল্লাহ অকারণে প্রথমে স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করেন। এক পর্যায়ে তার চার বছর বয়সী শিশু মেয়েটি কাছে এলে তাকে ছুরি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় শিশুটি।

তারা আরও জানায়, পরে হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে মেয়ের নিথর দেহ মনখালী খালে ফেলে দেন ঘাতক বাবা। এসময় মারধরের শিকার স্ত্রী কিছুটা সুস্থ হয়ে স্থানীয় দোকানদার ও প্রতিবেশীদের কাছে ঘটনার বিবরণ দিলে, এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা তাৎক্ষণিকভাবে ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ দুর্যোগ সরকার দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তায় ঘাতক বাবাকে আটক করে। পুলিশের উপস্থিতিতে আমান উল্লাহ হত্যার দায় স্বীকার করে বলেন, মদ, ইয়াবা ও গাঁজা সেবন করে মাতাল অবস্থায় স্ত্রীকে পেটানোর পর মেয়েকে হত্যা করেছি।

এ ঘটনায় পুরো এলাকায় শোক, ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। নিজের শিশু সন্তানকে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আরিফ হোসেন জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে হেফাজতে রেখে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *