তবে কী ইরানকে এই বড় সুখবর দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র?

ইরান-ইসরায়েল সাম্প্রতিক সংঘাতের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের তেল রপ্তানির ওপর জারি থাকা নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। দেশটির পুনর্গঠন ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতায় সহায়তা করতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ট্রাম্প বলেন, “ওদের দেশ আবার গড়ে তুলতে অর্থ লাগবে। আমরা চাই সেটা হোক।” ন্যাটো সম্মেলনের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

যদিও যুক্তরাষ্ট্র এখনো ইরানের ওপর ‘সর্বোচ্চ চাপ’ কৌশল বজায় রেখেছে, যার মধ্যে অন্যতম উপাদান হচ্ছে তেল রপ্তানির ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা। তবুও ট্রাম্পের মন্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, তেহরানকে আর্থিকভাবে পুনর্গঠনের সুযোগ দিতে নিষেধাজ্ঞার প্রয়োগে কিছুটা নমনীয়তা আনতে পারে ওয়াশিংটন।

এর আগের দিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, “চীন চাইলে ইরানের কাছ থেকে তেল কিনতে পারে।” যদিও পরে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, এটি নিষেধাজ্ঞা শিথিলের কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা নয়। বরং প্রেসিডেন্ট কেবল একটি সম্ভাব্য বাস্তবতা তুলে ধরেছেন।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরবর্তী অঞ্চলে ভূরাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা এবং মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই যুক্তরাষ্ট্র এই কৌশলগত নমনীয়তা দেখাতে পারে। তবে নিষেধাজ্ঞার আনুষ্ঠানিক পর্যালোচনা বা পরিবর্তন বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *