ভারত ধর্ষণ ও সন্ত্রাস কবলিত দেশ, ভ্রমণ সতর্কতা জারি করল আমেরিকা!

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে অপরাধ, সন্ত্রাস এবং যৌন হেনস্থার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া ভ্রমণ নির্দেশিকা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভারতের জন্য লেভেল ২ ট্রাভেল অ্যাডভাইসারি জারি করেছে আমেরিকা প্রশাসন। যার অর্থ, মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

অপরাধ ও সন্ত্রাসবাদের কারণ দেখিয়ে ভারতের বেশকিছু জায়গাকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ হিসাবে চিহ্নিত করে গত ১৬ জুন ওই অ্যাডভাইসারি জারি করা হয়।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভারতের পর্যটন এলাকায় যৌন নির্যাতনের প্রবণতা বাড়ছে। বিশেষ করে মহিলাদের একা ভ্রমণ না করার অনুরোধ করা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদ এবং হিংসাত্মক কর্মকাণ্ডের ঝুঁকি উল্লেখ করে সীমান্ত অঞ্চল ও মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার নাম করে সেগুলোতে ভ্রমণ নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

জম্মু ও কাশ্মীর, শ্রীনগর, গুলমার্গ, পহেলগাঁও সন্ত্রাস ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। মহারাষ্ট্রের পূর্ব, তেলেঙ্গানার উত্তর, পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশ মাওবাদী দখলদারিত্বে। বিহার, ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, মেঘালয়, ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীর বাইরে ভ্রমণের ক্ষেত্রে মার্কিন নাগরিকদের পূর্বানুমতি নিতে বলা হয়েছে। মণিপুরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এই ভ্রমণ নির্দেশিকা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষ কটাক্ষ করে লেখেন, মোদি ও তাঁর সমর্থকরা এবার জোর ধাক্কা খেলেন। যুক্তরাষ্ট্রই বলছে ভারত ধর্ষণ ও সন্ত্রাসে বিপন্ন। কেরল কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে মোদিকে খোঁচা দিয়ে বলা হয়, মোদির মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হল।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভ্রমণ নির্দেশিকা কেবল নিরাপত্তা সতর্কতা নয়, বরং কূটনৈতিকভাবে মোদি সরকারের ভাবমূর্তির ওপরও আঘাত। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা সত্ত্বেও এমন সতর্কতা বিরাট অস্বস্তির কারণ হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের এই সতর্কতা আন্তর্জাতিক পরিসরে ভারতের নিরাপত্তা ও নারী সুরক্ষা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। সরকারিভাবে এখনো কোনও জবাব না আসলেও, ভারতীয় রাজনীতিতে ইতোমধ্যেই আলোড়ন শুরু হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *