এবার ইরানের সাথে একজোট হচ্ছেন যারা!

ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একজোট হতে শুরু করেছে ইরানের মিত্র দেশগুলো। ইসরায়েল যখন ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে বিপর্যস্ত, তখন প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর জন্য নতুন এক হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

নিজেদের আকাশে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উড়িয়ে কিম জং উন জানিয়ে দিয়েছেন—ইরান একা নয়। সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে তুরস্ক। আর শক্তিশালী রাশিয়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে,

আমেরিকা যদি ইসরায়েলের পক্ষে দাঁড়িয়ে ইরানে হামলা চালায়, তাহলে তার পরিণাম হবে ভয়াবহ। ইতোমধ্যে শোনা যাচ্ছে, চীনও ইরানকে সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। অপরদিকে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায় ইরানের পক্ষে রাস্তায় নেমে এসেছে সাধারণ মানুষ।

ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। এই প্রাণঘাতী সংঘাতের সূত্রপাত হয় দখলদার ইসরায়েলের হাত ধরে। ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির দ্বারপ্রান্তে আছে—এই সন্দেহে নজিরবিহীন হামলা চালায় ইসরায়েল। তবে আয়াতুল্লাহ খামেনির নেতৃত্বাধীন ইরান চুপ করে থাকার পাত্র নয়। শুরুর ধাক্কা সামলে ইসরাইলের অযৌক্তিক হামলার কড়া জবাব দিচ্ছে ইরান।

ইরানি ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে নাকানি-চোবানি খাওয়া ইসরায়েল একা পেরে না উঠে যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টানার চেষ্টা করছে। যদিও শুরু থেকেই আমেরিকা ইসরায়েলকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে আসছে।

এই পরিস্থিতিতে চুপ নেই ইরানের মিত্ররা। একে একে তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করছে। উত্তর কোরিয়া ইসরায়েলকে শান্তির বিরুদ্ধে “একটি ক্যান্সার” হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন সরকারি ভাষণে বলেছেন, “যুদ্ধে ইরান একা নয়। উত্তর কোরিয়া তার মিত্রদের কঠিন সময়ে কখনো একা ফেলে না।” তিনি এই বার্তা দেয়ার পরপরই রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের কাছে সুমান এলাকা থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১০টিরও বেশি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে উত্তর কোরিয়া।

অন্যদিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ফক্স নিউজ ফ্লাইটরাডার২৪-এর বরাতে জানিয়েছে, চীন থেকে বোয়িং ৭৪৭ মডেলের পাঁচটি বিমান ইরানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে। বিমানগুলো উত্তর চীন থেকে উড়ে কাজাখস্তান হয়ে উজবেকিস্তান ও তুর্কমেনিস্তানে পৌঁছায় এবং সেখান থেকে ইরানের দিকে রওনা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এসব সামরিক কার্গো বিমান পাঠিয়ে ইরানের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট সি জিনপিং।

এদিকে তুরস্কের এরদোয়ান সরকারও ইরানের পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে। রাশিয়াও স্পষ্ট করে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধে জড়ায়, তাহলে তার পরিণাম হবে ভয়ঙ্কর।

সবশেষে, ভেনিজুয়েলার সাধারণ মানুষও রাস্তায় নেমে ইরানের প্রতি সংহতি জানাচ্ছে। সবমিলিয়ে বলা যায়—ইরান এখন একা নয়, একজোট হচ্ছে ইরানের বন্ধুরা।

সূত্রঃ https://youtu.be/-tnQa4_rArc?si=RVXOSTbIdVPhJX4I

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *