
৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দাবি করেছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক।’
আজ বুধবার সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের নিচে মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনের নিচে আন্দোলন চলাকালে এ দাবি করেন তিনি।সমাবেশ থেকে নুরুল ইসলাম আগামী দিনের কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সচিবালয়ের ৪ নম্বর ভবনের সামনে আবারও বিক্ষোভ সমাবেশ হবে।
তিনি বলেন, ‘আট বিভাগে সম্মেলনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে গেছে। আলোচনার নামে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আস্থা ভঙ্গ করেছেন, বিশ্বাস নষ্ট করেছেন। আমরা চাই, আমাদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হোক।
এ ছাড়া যারা ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলা রয়েছেন, তাদের তাড়াতে হবে।’
এদিকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের কয়েকটি ফ্লোর প্রদক্ষিণ করে ভবনের নিচে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশ থেকে বিক্ষোভকারীরা জানান, আজকের (১৮ জুন) মধ্যে দাবি মেনে নিয়ে সংশোধিত অধ্যাদেশ বাতিল না করা হলে রবিবার (২২ জুন) থেকে লাগাতার ও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সেই আন্দোলনে দেশের সব সরকারি কর্মচারীদের সম্পৃক্ত করে কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য মহার্ঘ ভাতার
কোনো ঘোষণা প্রদান করেননি। তবে তিনি বিশেষ প্রণোদনা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট বক্তব্যে এ প্রস্তাব প্রদান করে তিনি বলেন, ‘২০১৫ সালের পর থেকে কোনো বেতন কাঠামো না হওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা বাড়ানোর প্রস্তাব করছি।’