এবার ইসরায়েল নিয়ে বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য!

ইরান থেকে ছোড়া দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যবহৃত ইসরায়েলের ‘অ্যারো’ প্রতিরক্ষা ক্ষেপণাস্ত্র মজুত দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রভাবশালী দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল (WSJ)। চলমান সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে এক শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, বিষয়টি ওয়াশিংটনের জানা এবং তারা এরই মধ্যে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা জোরদারে সক্রিয় হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এখন ভূমি, আকাশ ও সমুদ্র—তিন ক্ষেত্রেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করছে।

জুন থেকে সংঘর্ষ তীব্রতর হওয়ার পর পেন্টাগন মধ্যপ্রাচ্যে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা উপস্থিতি বাড়ালেও যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব সরঞ্জামের ওপরও চাপ বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছে WSJ।

সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা প্রকল্পের পরিচালক টম কারাকো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বা ইসরায়েল কেউই সারাক্ষণ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে পারে না। শুধু বসে থেকে প্রতিরক্ষা নয়, আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে।”

ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সবধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত ও সজ্জিত। তবে অস্ত্রভাণ্ডার বা সরঞ্জামের মজুত সংক্রান্ত বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

‘অ্যারো’ হলো ইসরায়েলের বহুস্তরীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি উচ্চমাত্রার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে সক্ষম, বিশেষ করে সেগুলো ইরানের মতো দূরবর্তী দেশ থেকে ছোড়া হলেও।

বিশ্লেষকদের মতে, সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে ‘অ্যারো’ মজুতে ঘাটতি ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ভারসাম্যে বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *