
শুক্রবার তেহরানসহ ইরানের একাধিক শহরে ইসরায়েলের চালানো হামলায় নিহত হয়েছেন দেশটির বেশ কয়েকজন সামরিক কমান্ডার, বিজ্ঞানী ও বেসামরিক নাগরিক। এর প্রতিক্রিয়ায় শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ইরান পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে।
প্রথম দিকে সফলতা সীমিত থাকলেও পরবর্তীতে হাইপারসোনিক মিসাইল ব্যবহারের মাধ্যমে ইরান যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। একের পর এক ইসরায়েলের সুরক্ষিত স্থাপনায় ইরানি মিসাইল আঘাত হানায় ইসরায়েল কার্যত দিশেহারা হয়ে পড়ে।
মেহের নিউজ এজেন্সি এবং পার্স টুডে জানিয়েছে, ইসরায়েলের সামরিক ও নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইউসি মেলম্যান স্পষ্টভাবে সতর্ক করে বলেছেন, “যদি এই উন্মাদনা বন্ধ না করা হয়, তাহলে শেষ পর্যন্ত ইসরায়েলকে তেহরানের কাছে যুদ্ধবিরতির জন্য ভিক্ষা চাইতে হতে পারে।”
তিনি আরও বলেন, “শুক্রবার সকালে নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম—এই যুদ্ধটা কি আসলেই প্রয়োজন ছিল? বিশেষ করে ইরানিদের বিরুদ্ধে? শিয়ারা ঐতিহাসিকভাবেই কষ্ট সহ্য করার জন্য প্রস্তুত।
তাদের আত্মত্যাগের মনোভাব আমি জানি। ইরাক-ইরান যুদ্ধের আট বছরের ইতিহাস তারই প্রমাণ।”মেলম্যান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মাধ্যমে আলোচনার মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছেন।
তার বক্তব্য, “আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে না পারলে, হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়বে এবং শেষ পর্যন্ত আমাদের ইরানের কাছে যুদ্ধবিরতি চাইতে হবে—যা তারা নাও মেনে নিতে পারে।”
সূত্রঃ https://youtu.be/EV5YZ8KYnV8?si=x_KqNTsl7rAhn3hI