চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বিশেষ অভিযানে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সর্দার আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুন নুর (৪৭) কে অস্ত্রসহ আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের বার আউলিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে একটি নির্মাণাধীন ফার্মে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, লোহাগাড়া থানাধীন আমিরাবাদ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড বার আউলিয়া এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পূর্ব পাশে কপিল সাহেবের নির্মাণাধীন খামারের সামনে ফাঁকা নির্জন জায়গায় একদল ডাকাত ডাকাতি করার জন্য অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে সমবেত হয়েছে।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাতদলের সর্দারকে আটক করা গেলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাকীরা অস্ত্রসহ ডাকাতির সরঞ্জামাদি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে একটি দেশীয় তৈরি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), তার পরিহিত প্যান্টের বাম পাশের পকেটে ৫ (পাঁচ) রাউন্ড ১২ বোর লিডবল কার্তুজ ও তার মাথায় পড়া একটি ছাই রঙের মুখোশ (মানকি টুপি)। পলাতক ডাকাতদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে যাওয়া ২ (দুই) টি ধারালো লোহার কিরিছ, ৩ (তিন) টি ধারালো লোহার ছুরি, দুইটি মুখোশ (মানকি ক্যাপ) এবং একটি লোহার শাবল (রড) উদ্ধার করা হয়।
আটক ডাকাত সর্দার আব্দুল্লাহ প্রকাশ আব্দুল নুর, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী থানার শাকপুরা ইউনিয়নের টেক্সনগর চর খিজিরপুর এলাকার বহর তালুকদার বাড়ীর মৃত আবুল হাশেমের পুত্র।
ধৃত ডাকাত সর্দারসহ পলাতক ডাকাতদের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় দুটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
এ ছাড়াও আটক ডাকাত সর্দার আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় আরও ৩১টি ডাকাতিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
শনিবার বিকেলে আটককৃত ডাকাত সর্দারকে পুলিশ স্কটের মাধ্যমে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।
এ বিষয়ে লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান জানান, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ডাকাত সর্দারকে অস্ত্রসহ আটক করতে সক্ষম হয়েছি, তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও ডাকাতির দুটি মামলা রুজু করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে, পলাতক ডাকাতদের আটকে অভিযান অব্যাহত আছে।’
