অবশেষে প্রাথমিক শিক্ষকদের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে

টানা তিন দিন পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করলেন। এই কর্মসূচিতে কেউ হয়েছেন শোকজ। কাউকে আবার বাধা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তিন দফা দাবির আন্দোলনে সাড়া ছিলনা কর্তৃপক্ষের। তবে বৃহস্পতিবার শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে মন্ত্রণালয়। শিক্ষকদের পক্ষ থেকে এমনটিই দাবি করা হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনো কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম খান জনকণ্ঠকে জানান, এ বিষয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আনুষ্ঠানিকভাবে কোন ঘোষণা দেয়নি। দেওয়া হলে তা সবাইকে জানানো হবে।বুধবার টানা তিন দিন ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি চলছে।

তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো ১১তম গ্রেডে বেতন, উচ্চতর গ্রেড ও প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি। সংগঠনের নেতা মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ জানান, পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ৩ দিন পর এই অচলাবস্থা নিরসনে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনার জন্য তালিকা চাওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শিক্ষক নেতাদের সাথে আলোচনায় বসতে পারেন। তবে এই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সময় জানা যায়নি। তিনি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে কর্মবিরতি চলছে। বেশিরভাগ বিদ্যালয়েই শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসলেও খেলা-ধুলা ছাড়া আর কোন লেখাপড়া হয়নি।

আমাদের বক্তব্য হলো- শিক্ষকরা দ্রুত এই অচলাবস্থা দূর করে শ্রেণিকক্ষে যেতে চায়,তবে তার আগে অবশ্য তাদের ৩ দফা দাবি মেনে নিতে হবে। দাবি বাস্তবায়নের না হলে কর্মবিরতি চলতে থাকবে। এদিকে প্রায় সাড়ে তিন লাখের বেশি শিক্ষকের কর্মবিরতির ফলে এক কোটি কোমলমতি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।

উল্লেখ্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বর্তমানে দেশে ৬৫ হাজারের বেশি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখেরও বেশি শিক্ষক কর্মরত। তাঁদের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বর্তমান বেতন গ্রেড ১১তম। আর সহকারী শিক্ষকদের বেতন গ্রেড ১৩তম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *