
যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO)-কে জানিয়েছে যে, ভারতের ২৯টি মার্কিন পণ্যের উপর প্রতিশোধমূলক শুল্ক আরোপের কোনও আইনগত ভিত্তি নেই। এর ফলে তারা এ নিয়ে আলোচনাতেও যাবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়ামে যথাক্রমে ২৫% ও ১০% শুল্ক আরোপ করে। ভারতের দাবি, এই শুল্ক ছিল একতরফা ও অন্যায্য। তাই WTO-র নিয়ম মেনে তারা ২৯টি মার্কিন পণ্যের উপর পাল্টা শুল্ক বসানোর প্রস্তাব দেয়।
ভারত যে ২৯টি মার্কিন পণ্যে শুল্ক বসাতে চেয়েছে তার মধ্যে রয়েছে আপেল, বাদাম, নাশপাতি, অ্যান্টি-ফ্রিজিং কেমিক্যাল, বোরিক অ্যাসিড, নির্দিষ্ট ধরনের লোহা ও ইস্পাতজাত পণ্য।
এই পদক্ষেপে বছরে প্রায় ৭.৬ বিলিয়ন ডলারের মার্কিন রপ্তানি প্রভাবিত হবে বলে জানায় ভারত। যুক্তরাষ্ট্র WTO-তে তাদের জবাবে জানায়, সেকশান ২৩২ অনুযায়ী আরোপিত এই শুল্ককে
তারা কোনওভাবেই ‘সেফগার্ড’ বা সুরক্ষামূলক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছে না। বরং তারা মনে করছে এটি জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে নেয়া যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সিদ্ধান্ত। তাই ভারতের পাল্টা শুল্ক আরোপ করার কোনও সুযোগ নেই।
এদিকে ট্রাম্প হুমকি দেন, যদি ভারত প্রতিশোধমূলক শুল্ক কার্যকর করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের বাইরে তৈরি iPhone-এর উপর ২৫% আমদানি শুল্ক আরোপ করা হবে।
তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি হতে পারে ভারতের উপর চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল, যাতে দুই দেশের চলমান বাণিজ্য আলোচনা ভেস্তে না যায়।
যুক্তরাষ্ট্র আরও দাবি করে, ভারত WTO-র সেফগার্ড চুক্তি অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনও আলোচনায় আসেনি। তাই ভারতের পাল্টা শুল্ক আরোপের ভিত্তি নেই। এর ফলে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠছে।
সূত্র: https://timesofindia.indiatimes.com/business/india-business/will-not-discuss-us-tells-wto-that-india-has-no-basis-to-impose-retaliatory-duties-on-29-american-products/articleshow/121373285.cms