
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটি কমানোর কথা ভাবছে সরকার। এ তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় বলেন, “এক বছর বা ৩৬৫ দিনের মধ্যে বিদ্যালয়ে ক্লাস হয় মাত্র ১৮০ দিন।
শিক্ষকদের অনেক সময় শিক্ষা বহির্ভূত কাজে ব্যস্ত রাখা হয়, যা পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সাপ্তাহিক ছুটি কমানো নয়, বরং শিক্ষা ক্যালেন্ডারে ছুটি কমানো হবে।”
উপদেষ্টা আরও জানান, বিবিএস-এর সবশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশের ৭ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠীর সাক্ষরতার হার ৭৭.৯ শতাংশ। তবে ২২.১ শতাংশ জনগোষ্ঠী এখনও নিরক্ষর। এই জনগোষ্ঠী কখনও বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়নি বা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ঝরে পড়েছে।
ডা. বিধান রঞ্জন রায় বলেন, “মামলার কারণে অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি দেয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে ৩২ হাজার শিক্ষক প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতির জন্য অপেক্ষমাণ। এতে নতুন পদও সৃষ্টি হবে।”
তিনি আরও জানান, ১৫০টি উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল চালুর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এটি সেপ্টেম্বরের শেষ বা অক্টোবর মাস থেকে শুরু হবে।