
রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) আওয়ামী লীগ বিরোধী মিছিলে অংশ নেওয়া গণ-অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হন সংগঠনের সভাপতি নুরুল হক নুর More….
ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, লাল রঙের শার্ট পরা এক যুবক বেধড়ক হামলা চালাচ্ছেন। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর তাকে ঘিরে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকেই মন্তব্যে দাবি করেন, ওই যুবক নুরকে মারধর করছেন। More….
তবে শনিবার এক ফেসবুক পোস্টে গণ-অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান দাবি করেন, “লাল শার্ট পরা ব্যক্তি নুরকে নয়, ছাত্রনেতা সম্রাটকে পিটিয়েছে। এ ধরনের হামলার বৈধতা দেওয়া উচিত নয়।”
এরপর সকালে আরও এক পোস্টে রাশেদ খান নতুন দাবি উত্থাপন করে লেখেন, হামলাকারী ওই ব্যক্তি পুলিশের কনস্টেবল মিজানুর রহমান। তিনি কনস্টেবলের বিপি নম্বরও উল্লেখ করেন—৯৭১৭১৯৭২৪৩। রাশেদ বলেন, “ভিডিও দেখে বিভ্রান্ত না হয়ে প্রকৃত হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে হবে।”
তবে এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। আরেক পোস্টে রাশেদ অভিযোগ করেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরাই নুরুল হক নুর ও অন্যান্য নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তার ভাষায়, “লাল শার্টধারীর ওপর দায় চাপিয়ে প্রকৃত হামলাকারীদের দায় এড়ানো যাবে না। সেনাসদস্যরা শুধু হামলাই চালায়নি, আমাদের কার্যালয়ে ঢুকে বাথরুম ভেঙে অসংখ্য নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করেছে। তাদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
ঘটনার ভিডিও ও রাশেদ খানের পরস্পরবিরোধী মন্তব্যে হামলাকারীর প্রকৃত পরিচয় নিয়ে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে More….