
ফ্যাটি লিভার বা যকৃতের অতিরিক্ত চর্বি সমস্যা আজকাল অনেকেরই সাধারণ সমস্যা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ সরাসরি দেখা যায় না। তবে ক্লান্তি, হালকা অজানা অস্বস্তি,
হজমের সমস্যা বা বুকে ভার অনুভূতির মতো অপ্রত্যক্ষ সংকেত থাকতে পারে। তবে আতঙ্কিত হবেন না—প্রয়োজন নেই কোনো ব্যয়বহুল ঔষধের। কিছু সঠিক দৈনন্দিন অভ্যাসই ফ্যাটি লিভারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
১. নিয়মিত হালকা ব্যায়াম
প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি, সাইক্লিং বা হালকা জগিং করুন। ব্যায়াম যকৃতের চর্বি কমাতে সাহায্য করে এবং রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. ভারী খাবার এড়িয়ে চলুন
ফাস্ট ফুড, তেল-মশলাযুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার লিভারের জন্য ক্ষতিকর। হালকা, স্বাস্থ্যকর খাবার—শাক-সবজি, ফ্রুটস এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার—নিয়মিত খান।
৩. চিনি ও মিষ্টির পরিমাণ কমান
চিনি ও সফট ড্রিঙ্কের অতিরিক্ত ব্যবহার যকৃতের চর্বি বাড়ায়। দিনে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করুন।
৪. পর্যাপ্ত পানি পান করুন
প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। পানি যকৃতকে বিষাক্ত পদার্থ বের করতে সাহায্য করে এবং ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়।
৫. নিয়মিত ঘুম নিশ্চিত করুন
সঠিক সময়ে ঘুমানো ও পর্যাপ্ত ঘুম লিভারের স্বাভাবিক কার্যক্রমের জন্য অপরিহার্য। দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৬. অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকুন
মদ্যপান যকৃতকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে। ফ্যাটি লিভার থাকলে সম্পূর্ণভাবে অ্যালকোহল এড়ানো সবচেয়ে ভালো।
৭. স্ট্রেস কমান
দীর্ঘমেয়াদি মানসিক চাপ যকৃতের ফাংশনকে প্রভাবিত করতে পারে। মেডিটেশন, যোগব্যায়াম বা হালকা হবি পালন করুন স্ট্রেস কমানোর জন্য।
ফ্যাটি লিভারের কোনো জটিল ও ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন নেই, নিয়মিত সঠিক অভ্যাস বজায় রাখলেই যকৃত সুস্থ থাকবে।