ফেলে দেওয়া কলার খোসা ফিরিয়ে দেবে ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা

ফেলে দেওয়ার জিনিস থেকেও যে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়, তা অনেকেই হয়তো জানেন না। কিন্তু সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফেলে দেওয়া কলার খোসাই হয়ে উঠতে পারে প্রাকৃতিক ফেশিয়ালের সস্তা ও কার্যকর বিকল্প। শুধু তাই নয়, বলিউড তারকা এবং ‘মিস শ্রীলঙ্কা’ খেতাবপ্রাপ্ত জ্যাকলিন ফার্নান্দেজও ত্বকের যত্নে এই ঘরোয়া উপকরণ ব্যবহার করেন।

সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে কলার খোসা দিয়ে ফেশিয়াল করার একটি ছবি শেয়ার করেন তিনি। তখন থেকেই ফের আলোচনায় উঠে এসেছে এই সহজলভ্য ত্বকচর্চার পদ্ধতি।

কেন ব্যবহার করবেন কলার খোসা?

অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর

২০২৫ সালে প্রকাশিত ‘Springer Nature’-এর একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, কলার খোসায় রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস, ক্যারোটিনয়েডস ও ফেনোলিক যৌগ, যা ত্বককে ফ্রি র‍্যাডিকালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। ফলে বয়সের ছাপ পড়ে দেরিতে।

অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ

কলার খোসায় থাকা ট্রিগোনেলাইন, ফেরুলিক অ্যাসিড ও আইসোভ্যানিলিক অ্যাসিড ত্বকের প্রদাহ বা র‍্যাশ কমাতে সাহায্য করে।

ত্বকে আনে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা

গবেষণা বলছে, কলার খোসা ত্বকের মেলানিন উৎপাদন হ্রাস করে, যার ফলে কমে কালচে দাগ, ছোপ ও অমসৃণ ভাব। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক হয় মসৃণ ও উজ্জ্বল।

ব্রণরোধী গুণ

কলার খোসার নির্যাসে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে লাগাম টানে।

যেভাবে করবেন কলার খোসা দিয়ে ফেশিয়াল?

পদ্ধতিটি একেবারেই সহজ এবং খরচ সাশ্রয়ী।

১. একটি পাকা কলা নিন, খোসা ছাড়িয়ে ফলটি খেয়ে ফেলুন। ২. প্রথমে মুখ ফেসওয়াশ দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। ৩. এবার কলার খোসার ভেতরের দিকটি মুখে আলতো করে ঘষুন। ৪. ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। ৫. শেষে উষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

সপ্তাহে অন্তত দুই দিন এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে ত্বকে চোখে পড়ার মতো পরিবর্তন দেখা যায়।

সাবধানতা

যদিও কলার খোসা প্রাকৃতিক ও তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, তবুও যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তারা ব্যবহার শুরুর আগে একবার প্যাচ টেস্ট করে নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *