
দেশের বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাবে দেশের ১২টি জেলায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার বন্য পরিস্থিতির পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
পাউবোর বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, তিস্তা নদীর পানি সমতল আগামী দুই দিন বৃদ্ধি পেতে পারে।
তৃতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। আগামী দুই দিনে নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলায় সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে এবং নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
ফেনী, মুহুরী, সেলোনিয়া, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, নোয়াখালী খাল ও রহমতখালি খাল নদীসমূহের পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে ও সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এই সময়ে ফেনী, চট্রগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার বর্ণিত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এ ছাড়া সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, লুবাছরা, যাদুকাটা, ঝালুখালি, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীসমূহের পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। তৃতীয় দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে ও এই সময়ে সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। এসময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বর্ণিত নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।
এদিকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি মৌসুমি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া ডটকমের প্রধান আবহওয়াবিদ মোস্তফা কামাল পলাশ। এর কারণে আগামী কয়েকদিন প্রবল বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) মোস্তফা কামাল পলাশ তার ফেসবুক পোস্টে জানিয়েছেন, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপকূলে একটি লঘুচাপের সৃষ্টি হয়েছে। যার প্রভাবে আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্ব দিকের রাজ্যগুলোর ওপরে মাঝারি থেকে ভারি মানের বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে। বাংলাদেশের খুলনা, বরিশাল ও চট্রগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে মাঝারি থেকা ভারি মানের বৃষ্টির আশঙ্কা করা যাচ্ছে কমপক্ষে আগামী ৩ দিন (শনিবার পর্যন্ত)।