যে ৫ লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন কিডনি ক্যান্সারে ভুগছেন

কিডনি ক্যান্সার বা রেনাল সেল কার্সিনোমা অনেক সময় নীরবে শরীরে বাসা বাঁধে। প্রাথমিক পর্যায়ে সাধারণত তেমন কোনো উপসর্গ প্রকাশ পায় না। এজন্য রোগটি অনেক সময় দেরিতে ধরা পড়ে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ যদি নিয়মিত দেখা দেয় তবে তা কিডনি ক্যান্সারের সতর্ক সংকেত হতে পারে। সময়মতো শনাক্ত হলে চিকিৎসা নেওয়া সহজ হয় এবং রোগী সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

চিকিৎসকদের মতে কিডনি ক্যান্সারের ৫টি সাধারণ লক্ষণ হলো-

১. প্রস্রাবে রক্ত আসা (হেমেচুরিয়া)
কিডনি ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ হলো প্রস্রাবে রক্ত দেখা যাওয়া। কখনো প্রস্রাব পুরোপুরি লালচে বা বাদামি হতে পারে, আবার অনেক সময় মাইক্রোস্কোপ ছাড়া ধরা পড়ে না। নিয়মিত বা বারবার এ সমস্যা দেখা দিলে অবহেলা করা বিপজ্জনক।

২. কোমর বা পাশে ব্যথা
কিডনির চারপাশে বা কোমরের একপাশে ক্রমাগত ব্যথা হলে তা কিডনি ক্যান্সারের সংকেত হতে পারে। অনেক সময় এই ব্যথা তীব্র হয় না, কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী হয়।

৩. পেটে বা কোমরে গিঁট বা ফোলাভাব
কিডনিতে টিউমার তৈরি হলে তা বাইরে থেকে পেট বা কোমরে শক্ত গিঁট বা ফোলাভাব হিসেবে অনুভূত হতে পারে। বিশেষ করে যখন টিউমার বড় হতে শুরু করে।

৪. অবিরাম ক্লান্তি ও দুর্বলতা
কিডনি ক্যান্সারের কারণে শরীরে রক্তাল্পতা (অ্যানিমিয়া) দেখা দিতে পারে। ফলে রোগী সারাক্ষণ অস্বাভাবিক ক্লান্তি, দুর্বলতা ও অবসন্নতা অনুভব করেন।

৫. অকারণ ওজন কমে যাওয়া ও জ্বর
খাদ্যাভ্যাস বা ব্যায়ামের কোনো পরিবর্তন ছাড়াই হঠাৎ ওজন কমে গেলে তা কিডনি ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। এর সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী হালকা জ্বরও থাকতে পারে।

চিকিৎসকরা বলছেন, এসব উপসর্গ অনেক সময় অন্য রোগের সঙ্গেও সম্পর্কিত হতে পারে। তবে বারবার এসব সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত নেফ্রোলজিস্ট বা ক্যানসার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। প্রাথমিক অবস্থায় কিডনি ক্যান্সার শনাক্ত হলে চিকিৎসা অনেক বেশি কার্যকর হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *