
দেশের ৫৪তম জাতীয় বাজেট এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট আজ জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, “প্রিয় দেশবাসী, এবারের বাজেটের অন্যতম লক্ষ্য হলো সম্পদের সুষম বণ্টন ও বৈষম্যহীন একটি বাংলাদেশ গঠন। পাশাপাশি রাজস্ব আয় ও সরকারি ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে একটি যৌক্তিক ও বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে।”
রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর মাধ্যমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে প্রাপ্তির লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ হাজার কোটি টাকা।
রাজস্ব আহরণ বাড়াতে কর অব্যাহতির সুযোগ যৌক্তিকভাবে হ্রাস, করজাল সম্প্রসারণ, এবং পণ্য ও পরিসেবায় একক হারে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) প্রবর্তনের বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া এনবিআরের কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে জনবল বাড়ানো হয়েছে।
মোট ব্যয় ও ঘাটতি
প্রস্তাবিত মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১২.৭ শতাংশ। এর মধ্যে পরিচালন ও অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা, এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ হবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩.৬ শতাংশ। এ ঘাটতির মধ্যে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা আসবে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে, এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে।
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সুখবর
অর্থ উপদেষ্টা জানান, “২০১৫ সালের পর এখনো পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়নি। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এবারের বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য বিশেষ সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাব রাখা হয়েছে।”
সুদ পরিশোধ
আগামী অর্থবছরে সুদ পরিশোধ বাবদ মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা।