গত ২০ মে জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে সচিবালয়সহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ৪৪ জন আমলাকে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করে তাদের নাম প্রকাশ করে রাজনৈতিক জোট জুলাই ঐক্য। একই সঙ্গে আগামী ৩১ মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সময়সীমা বা আল্টিমেটাম ঘোষণা করা হয়।
তবে নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সরকার এখন পর্যন্ত কোনো কার্যকর বা দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে জুলাই ঐক্য।
সংগঠনটির দাবি, বিগত কয়েকদিন ধরে সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সরকারি সংস্কার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রস্তাবিত আইনের সংশোধনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। এটি সরাসরি ‘জুলাই স্পিরিট’-এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মন্তব্য করেছে তারা।
জুলাই ঐক্যের অভিযোগ, সচিবালয় অচল করে ‘সিভিল ক্যু’ ঘটানোর পেছনে রয়েছে একটি সুপরিকল্পিত ভারতীয় অ্যাজেন্ডা। তাদের মতে, ২০২৪ সালের গণবিপ্লব পরবর্তী সময়ে প্রশাসন অচল করে দিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে, যাতে করে ভারতীয় স্বার্থ রক্ষা পায়।
এই প্রেক্ষাপটে জুলাই ঐক্য পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামীকাল ৩ জুন (মঙ্গলবার) সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে ঢাকার জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে ‘মার্চ টু সচিবালয়’* কর্মসূচির মাধ্যমে পদযাত্রা শুরু করবে। পূর্বে এই কর্মসূচির সূচনাস্থল ছিল রাজু ভাস্কর্যের সামনে, তবে তা সংশোধন করে জাতীয় যাদুঘরের সামনে থেকে যাত্রা শুরুর আহ্বান জানানো হয়েছে।
জুলাই ঐক্যের আহ্বান, ভারতীয় প্রক্সি শাসক শেখ হাসিনার আমলাতান্ত্রিক সহকারীদের ‘সচিবালয় থেকে অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবিতে সাধারণ ছাত্র-জনতাকে এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার।
সূত্র: জুলাই ঐক্য সংবাদ বিজ্ঞপ্তি।
