
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশি হামলায় নিহত শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের মৃত্যুর ঘটনায় আজ (২২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁর বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে দায়ী করেন।
সেবন্তী জানান, ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই জুমার নামাজ শেষে মোহাম্মদপুর নুরজাহান রোডের দক্ষিণ প্রান্তে আন্দোলনে যোগ দেন সৈকত। বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটের দিকে পুলিশ অতি নিকট থেকে গুলি করে তাঁকে হত্যা করে।
পরে একজন অপরিচিত ব্যক্তি সৈকতের ফোন ধরে তাঁর বাবাকে জানায়—“ফোনের মালিক পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আমরা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিচ্ছি। দ্রুত আসুন, না হলে লাশও পাবেন না।
তিনি বলেন, হাসপাতালে গিয়ে মেঝেতে রক্ত ও সৈকতের নিথর দেহ দেখতে পান। পরদিন ২০ জুলাই জানাজা শেষে মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের জামে মসজিদ কবরস্থানে সৈকতকে দাফন করা হয়।
সাক্ষ্যে সেবন্তী আরও বলেন, “খুনি হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরাসরি দায়ী। তাদের নির্দেশে নিরস্ত্র ছাত্র-জনতার ওপর লেথাল অস্ত্র ব্যবহার হয়েছে। আমরা তাদের বিচার ও মৃত্যুদণ্ড চাই।”
আজকের শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।