
শিক্ষক নামক মহান পেশার সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষের গভীর সম্পর্ক থাকলেও, দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা রাষ্ট্রীয় অবহেলার শিকার হয়ে আসছেন। বিশেষ করে অবসর-পরবর্তী সময়ে কল্যাণ তহবিল ও অবসর সুবিধার টাকা না পেয়ে তাঁরা চরম অনিশ্চয়তা ও দুঃখকষ্টে জীবনযাপন করছেন।
তথ্য অনুযায়ী, দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ৯ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী আছেন। এর মধ্যে পাঁচ লাখের বেশি বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন, যাদের একটি বড় অংশ প্রতি বছর অবসরে যাচ্ছেন বর্তমানে প্রায় ৫০-৬০ হাজার অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন, যারা প্রতিনিয়ত নিজেদের জমানো কল্যাণ তহবিল ও রাষ্ট্র প্রতিশ্রুত অবসর সুবিধার টাকা পাওয়ার আশায় অপেক্ষায় আছেন।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকরা অভিযোগ করেন, তাঁদের পাওনা পরিশোধে বছরের পর বছর দেরি করা হচ্ছে। অথচ উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যেই এই অর্থ পরিশোধ করা উচিত। রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনে সরকারের সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকলেই এই সমস্যা সমাধান সম্ভব।
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দাবি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন। তাঁদের মতে, সরকারি কোষাগার থেকে ৫-৬ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেই এ সমস্যার সমাধান সম্ভব।
শিক্ষক সমাজ মনে করেন, এই উদ্যোগ নিলে একদিকে যেমন অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা মানবিক মর্যাদায় অবসর জীবন কাটাতে পারবেন, অন্যদিকে জাতির ইতিহাসে ড. ইউনূসের নাম একটি মাইলফলক হিসেবে লিপিবদ্ধ হবে।