ট্রাম্পের বিশ্বাসঘাতকতার পর নতুন অংশীদার খুঁজছে কাতার

মার্কিন সংবাদ মাধ্যম অ্যাক্সিওস জানিয়েছে, কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানি হোয়াইট হাউসকে বলেছেন এই ‘বিশ্বাসঘাতক’ কাজের পরে তার দেশ ওয়াশিংটনের সাথে নিরাপত্তা সহযোগিতা পর্যালোচনা করবে।

অন্যদিকে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল থানি সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আরও বলেছেন উপসাগরীয় নেতারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা নিয়ে আলোচনা করছেন।

প্রতিবেদন অনুসারে, ১২ দিনের যুদ্ধের সময় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর কাতারে অবস্থিত মার্কিন আল-উদেইদ সামরিক ঘাঁটিতে ইরান হামলা চালায়। সম্প্রতি কাতারের দোহায় হামাস প্রতিনিধিদলের আলোচনাস্থলে হামলা চালায় ইসরায়েল।

ঘটনার পর আল থানি হোয়াইট হাউসের রাষ্ট্রদূত স্টিভ হুইটেকারকে সতর্ক করে বলেছেন, কাতার আমেরিকার সাথে তার নিরাপত্তা সহযোগিতা গভীরভাবে মূল্যায়ন করবে এবং প্রয়োজনে তার নিরাপত্তা প্রদানের জন্য ‘অন্যান্য অংশীদার খুঁজবে’।

বিষয়টি সম্পর্কে অবড়ত দুটি সূত্র অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর কাছে কাতারে আক্রমণ না করার গ্যারান্টি চেয়েছিলেন ট্রাম্প।

অ্যাক্সিওসের মতে, দোহার ওয়াশিংটনকে সতর্ক করা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু এই অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চাননি এবং এমনকি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ট্রাম্পের অনুরোধ সত্ত্বেও তিনি আরও একটি আক্রমণ চালাতে পারেন।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ষষ্ঠ দেশ হিসেবে কাতারে হামলা করেছে ইসরায়েল।

অ্যাক্সিওস আরও জানিয়েছে, কাতারে হামলা নিয়ে আলোচনার জন্য মঙ্গলবার ট্রাম্প নেতানিয়াহুর সাথে দুইবার ফোনে কথা বলেছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। আলাপে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইসরায়েলি শাসক গোষ্ঠীর সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেছেন এবং এই পদক্ষেপের দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা কী হবে তা নিয়ে ভাবছেন।

একজন প্রাক্তন মার্কিন কর্মকর্তা আরও বলেছেন, কাতারে যা ঘটছে তা তেল আবিব এবং ওয়াশিংটনের বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করছে কাতার। দেশটির প্রধানমন্ত্রী মার্কিন কর্মকর্তাদের এমনটাই বলেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *