
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) বাইরে অন্য কোনো লেখক ও প্রকাশকের বই পাঠ্যভুক্ত করলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
রবিবার (৩১ আগস্ট) জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সচিব অধ্যাপক সাহতাব উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) কর্তৃক প্রণীত ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির সাহিত্যপাঠ (গদ্য ও কবিতা), বাংলা সহপাঠ (উপন্যাস ও নাটক),
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (বাংলা ও ইংরেজি ভার্সন) এবং English For Today পাঠ্যপুস্তকসমূহ প্রচ্ছদ পরিবর্তন, বিষয়বস্তু সংযোজন, বিয়োজনসহ পরিমার্জনপূর্বক নতুন আঙ্গিকে এনসিটিবি’র জলছাপযুক্ত নিরাপত্তা কাগজসমেত মুদ্রণ ও বাঁধাই করে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাজারজাত করা হবে।
এ পরিপ্রেক্ষিতে-অভিভাবকগণ এবং শিক্ষার্থীদের এনসিটিবি কর্তৃক প্রদত্ত জলছাপসহ সিকিউরিটি পেপারযুক্ত নতুন সংস্করণের পাঠ্যপুস্তকসমূহ ক্রয় করার অনুরোধ করা হলো।
উল্লেখ্য, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডসমূহের অধীনে পরিচালিত মূল্যায়ন (পরীক্ষা) প্রক্রিয়ায় কেবল এনসিটিবির পাঠ্যপুস্তকের বিষয়বস্তু বিবেচনায় নেওয়া হবে। পাঠ্যপুস্তকসমূহ সারা দেশের লাইব্রেরিসমূহ হতে এনসিটিবি কর্তৃক নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করা হবে।
এতে আরো বলা হয়, যদি কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এনসিটিবি কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি পাঠ্যপুস্তক ব্যতীত অন্য কোন লেখক ও প্রকাশকের পুস্তক পাঠ্যভুক্ত করে, তাহলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এনসিটিবি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নকলমুক্ত পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বাজারজাতকরণ এবং শিক্ষার্থীদের হাতে নির্ধারিত সময়ে পাঠ্যপুস্তক পৌঁছে দেওয়ার সরকারি উদ্যোগকে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয় ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে।